ঢাকা     রোববার   ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৬ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

শিক্ষককে ছুরি মেরে টিসি দেওয়ার প্রতিশোধ নিল ছাত্রী!

রাজশাহী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:০১, ১৯ আগস্ট ২০২৫   আপডেট: ২০:০৬, ১৯ আগস্ট ২০২৫
শিক্ষককে ছুরি মেরে টিসি দেওয়ার প্রতিশোধ নিল ছাত্রী!

রাজশাহীতে এক ছাত্রী ট্রান্সফার সার্টিফিকেট (টিসি) দেওয়ার প্রতিশোধ নিতে এক শিক্ষককে ছুরিকাঘাত করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। 

মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) দুপুর পৌনে ২টার দিকে রাজশাহী ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনের রাস্তায় এ হামলা হয়।

আহত শিক্ষকের নাম মারুফ কারখী (৩৪)। তিনি রাজশাহী ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী শিক্ষক। ছুরিকাঘাতে তার ঘাড় ও হাতে জখম হয়েছে। 

অভিযুক্ত ওই ছাত্রীকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তার বয়স আনুমানিক ১৬ বছর। সে রাজশাহী ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করে। ‘উচ্ছৃঙ্খল আচরণের কারণে’ ২০২৩ সালে তাকে প্রতিষ্ঠান থেকে টিসি দেওয়া হয়। বর্তমানে সে রাজশাহীর শহীদ কর্নেল কাজী এমদাদুল হক পাবলিক স্কুলে দশম শ্রেণিতে পড়ছে।

রাজশাহী ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, টিসি দেওয়াকে কেন্দ্র করে ওই শিক্ষার্থীর ক্ষোভ ছিল। শুধু শিক্ষক মারুফ কারখীর প্রতি নয়, প্রতিষ্ঠানের সব শিক্ষক-কর্মকর্তার প্রতিই তার ক্ষোভ ছিল। যে কারো ওপর হামলার পরিকল্পনা ছিল তার। দুর্ভাগ্যক্রমে দুপুরে মারুফ কারখী রাস্তায় তার সামনে পড়েন।

তিনি জানান, দুপুরে স্কুল ছুটি হলে মারুফ কারখী স্কুটি নিয়ে বাসায় যাচ্ছিলেন। ওই সময় রাস্তায় অপেক্ষমাণ ছাত্রী ‘হেল্প, হেল্প’ বলে ডাকতে থাকে। বিপদে পড়েছে ভেবে শিক্ষক স্কুটি থেকে নেমে কাছে যেতেই হঠাৎ সে তার গলা লক্ষ্য করে ছুরি চালায়। হাত দিয়ে প্রতিরোধ করতে গেলে শিক্ষকের হাত ও ঘাড়ে জখম হয়। স্থানীয়রা ছাত্রীকে আটক করে স্কুলে খবর দেন। আহত শিক্ষককে দ্রুত রাজশাহীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নেওয়া হয়। সেখানে তার ক্ষতস্থানে তিনটি সেলাই দিতে হয়।

ঘটনার পর অভিভাবককে ডেকে ছাত্রীকে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। স্কুল কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো আইনি পদক্ষেপ নেয়নি। ঘটনার পরের একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ওই ছাত্রী সেনাবাহিনীকে উদ্দেশ্য করে অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল করছে।

এ বিষয়ে রাজশাহী ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাঈম আব্দুল্লাহ গণমাধ্যমে কোনো মন্তব্য করবেন না বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত সহকারী (পিএ) আব্দুর রউফ হোসেন।

রাজশাহী নগরীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাক আহম্মেদ বলেছেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও স্কুল কর্তৃপক্ষ তাদের ভেতরে ঢুকতে দেয়নি। তখন ওই ছাত্রীকে স্কুলে রাখা হয়েছিল। স্কুল কর্তৃপক্ষ পুলিশকে জানিয়েছে যে, এ বিষয়ে তারা নিজেরাই সমাধান করবেন। এ নিয়ে থানায় কোনো অভিযোগ করা হয়নি।

ঢাকা/কেয়া/রফিক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়