পঞ্চগড়ে পানিতে ডুবে শিশুসহ ৩ জনের মৃত্যু

পঞ্চগড়ে পুকুর ও ডোবার পানিতে ডুবে দুই শিশুসহ তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (২০ আগস্ট) পৃথক তিনটি স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

এরা হলো- সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের ফুটকিপাড়া এলাকার জহিরুল ইসলাম সোহাগের ছেলে আব্দুল্লাহ আলিম আদনান (৬), আটোয়ারী উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়নের চুচুলী পটেশ্বরী এলাকার সুজন ইসলামের মেয়ে মুন্নি আরা (১৪) এবং একই ইউনিয়নের আরাজী মন্ডলহাট বলরামপুর এলাকার অনিক চন্দ্র রায়ের ছেলে মোহন চন্দ্র রায় (৪)।  

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বলরামপুর ইউনিয়নের চুচুলী পটেশ্বরী এলাকায় বাড়ির পাশের পুকুরে প্রতিবেশী এক মেয়ের সাথে গোসল করতে যায় মুন্নি আরা। সাঁতার না জানা মুন্নি একপর্যায়ে পুকুরের গভীর অংশে চলে যায় এবং ডুবে যায়। পরে প্রতিবেশী মেয়েটির চিৎকারে বাড়ির লোকজন ছুটে এলে তাকে উদ্ধার করে বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

একই ইউনিয়নের আরাজী মন্ডলহাট এলাকায় বাড়ির উঠানে খেলা করছিল শিশু মোহন চন্দ্র রায়। একপর্যায়ে পরিবারের সদস্যরা তাকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করলে ডোবার পানিতে ভাসতে দেখা যায় মোহনকে। তাকে উদ্ধার করে বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের ফুঁটকি পাড়া এলাকার শিশু আব্দুল্লাহ আলিম আদনানকে ঘরের মধ্যে রেখে গোসলে যায় তার চাচা। পরে চাচাকে খুঁজতে ঘর থেকে বের হয় সে। শিশুটির চাচা তাকে দেখতে না পেয়ে বাড়ির বাইরে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। একপর্যায়ে বাড়ির পাশের পুকুরে আদনানকে ভাসতে দেখে দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক সাদমান সাকিব বলেন, পানিতে পড়ে যাওয়ার ঘটনায় মোহন ও মুন্নি আরা নামে দুজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তাদের মৃত্যু হয়েছে।

আটোয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম সরকার ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লা হিল জামান বলেছেন, “তিনজনের মরদেহের সুরতহাল করা হয়েছে। এসব ঘটনায় কোনো অভিযোগ পাইনি। তবে থানায় পৃথকভাবে অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা দায়ের করা হবে।”