ঢাকা     শনিবার   ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৬ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

শের-ই-বাংলা হাসপাতালে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স ধর্মঘট, রোগীরা বিপাকে

বরিশাল সংবাদদাতা  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:১০, ২৭ আগস্ট ২০২৫   আপডেট: ১৯:৫৪, ২৭ আগস্ট ২০২৫
শের-ই-বাংলা হাসপাতালে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স ধর্মঘট, রোগীরা বিপাকে

বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স পার্কিংয়ের স্থানের দাবিতে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স মালিক সমিতির ডাকে ধর্মঘট শুরু হয়েছে। বুধবার (২৭ আগস্ট) সকাল ৬টা থেকে বরিশাল অ্যাম্বুলেন্স মালিক সমবায় সমিতির আওতাধীন সব অ্যাম্বুলেন্স চলাচল বন্ধ রয়েছে। রোগী ও তাদের স্বজনরা বিপাকে পড়েছেন।

বরিশাল বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স মালিক সমবায় সমিতির সাবেক সভাপতি ফিরোজ আলম বলেন, ‘‘হাসপাতালের পরিচালকের আদেশে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স আর হাসপাতালের ভেতরে পার্কিং করতে দেয়া হচ্ছে না। বাধ্য হয়ে হাসপাতালের বাইরে অনিরাপদ জায়গায় অ্যাম্বুলেন্স পার্কিং করার কারণে অনেক গাড়ির ব্যাটারিসহ যন্ত্রাংশ চুরি হয়ে গেছে।’’

তিনি আরো বলেন, ‘‘আমাদের দাবি হাসপাতালের ভেতরে নির্ধারিত পার্কিং স্থান আমাদের ফিরিয়ে দেয়া হোক।’’ 

মালিকরা জানান, পার্কিংয়ের স্থান ফিরে পাওয়ার দাবিতে বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, হাসপাতাল পরিচালকসহ বিভিন্ন দপ্তরের স্মারকলিপি দিয়েছেন। যেখানে তারা ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন। ৪৮ ঘণ্টা অতিবাহিত হলেও সুরাহা না হওয়ায় বাধ্য হয়ে ধর্মঘটে গেছেন।

তারা জানান, আজ বুধবার (২৭ আগস্ট) সকাল ৬টা থেকে ধর্মঘট শুরু হয়েছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত চলবে। প্রয়োজনে ধর্মঘট বরিশাল বিভাগে থাকা অ্যাম্বুলেন্স মালিক-শ্রমিকরা করবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন তারা।

বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স মালিক আজিজুর রহমান বলেন, ‘‘ হাসপাতালের পরিচালক জরুরি বিভাগের সামনে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স পার্কিংয়ের জায়গা নির্ধারণ করে দেয়।  প্রায় ১০ লাখ টাকা খরচ করে সেই জায়গা গাড়ি পার্কিংয়ের উপযোগী করে তোলে অ্যাম্বুলেন্স মালিকরা। এরপর থেকে দীর্ঘদিন সেখানে অ্যাম্বুলেন্স সুশৃঙ্খলভাবে রাখলেও কিছু দিন আগে সেখানে অ্যাম্বুলেন্স রাখা যাবে না বলে হাসপাতালের বর্তমান পরিচালক জানিয়ে দেন।’’

অ্যাম্বুলেন্স ধর্মঘটের ফলে রোগী এবং তাদের স্বজনেরা বিপাকে পড়েছেন। জরুরি প্রয়োজনে রোগী পরিবহনের জন্য তারা অ্যাম্বুলেন্স পাচ্ছেন না। চরফ্যাশন থেকে চিকিৎসার জন্য জিয়াউর রহমান তার স্বজনকে ঢাকায় নিয়ে যেতে চান। তিনি বলেন, ‘‘সরকারি অ্যাম্বুলেন্স পাওয়া যাচ্ছে না। বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সের ধর্মঘট চলছে। এ অবস্থায় ঢাকার শিশু হাসপাতালে কীভাবে রোগী নিয়ে যাব, তার উপায় খুঁজে পাচ্ছি না।’’

বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স মালিক আজিজুর রহমান জানান, ১০৮টি অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে বরিশাল অ্যাম্বুলেন্স মালিক সমবায় সমিতির আওতায়। এখানে কোনো সিন্ডিকেট নেই, যে যত কম ভাড়ায় সেবা দিতে পারে, তার চাহিদা তত বেশি থাকে। অথচ এখন তাদের অ্যাম্বুলেন্স চলাচল বন্ধ রাখতে হচ্ছে।  


 

ঢাকা/পলাশ/বকুল

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়