ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৪ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

চাঁদপুরে ৬০ টাকায় পেটচুক্তি ভাত বিক্রিতে ব্যাপক সাড়া

চাঁদপুর প্রতিনিধি  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:২৯, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫  
চাঁদপুরে ৬০ টাকায় পেটচুক্তি ভাত বিক্রিতে ব্যাপক সাড়া

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির দিনে কম টাকায়পেট ভরে ভাত খাওয়ার সুযোগ পেয়ে অনেকেই ভিড় করছেন আবুল হাসনাত গাজীর দোকানে

মাত্র ৬০ টাকায় একটি সিদ্ধ ডিমের তরকারি, আলু ভর্তা, ডাল, সালাদসহ পেটচুক্তিতে (যত ইচ্ছা, তত খাওয়া) ভাত বিক্রি করে সাড়া ফেলেছেন চাঁদপুরের আবুল হাসনাত গাজী। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির এই দিনে এত কম টাকায় বিভিন্ন তরকারি দিয়ে পেট ভরে ভাত খাওয়ার সুযোগ পেয়ে অনেকেই ভিড় করছেন তার দোকানে। 

প্রতি সপ্তাহে বৃহস্পতিবার গরু-ছাগলের হাট বসে চাঁদপুর সদরের লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্য রঘুনাথপুর বেপারী বাজারে। কম হাসিল নেওয়ায় এ হাটের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। দূর-দূরান্তের খামারি ও বেপারীরা গুরু-ছাগল নিয়ে এসে এ হাটে বেচাকেনা করেন। ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত চলে এ হাট। ক্রেতা-বিক্রেতাদের কথা কথা চিন্তা করেই হাট কর্তৃপক্ষ কম দামে পেট ভরে খাওয়ানোর উদ্দ্যেশে এ খাবার হোটেল পরিচালনা করছে।

কর্মচারীরা জানিয়েছেন, হোটেলে সকাল থেকেই রান্না হয়। এক টুকরো ফার্মের মুরগির মাংস, আলু ভর্তা, ডাল ও সালাদ দিয়ে পেটচুক্তিতে ভাত খেলে গুনতে হয় মাত্র ১০০ টাকা। ফার্মের মুরগির স্থলে পাকিস্তানি মুরগির মাংস দিয়ে খেলে ১৫০ টাকা, এক টুকরো মাছ দিয়ে খেলে ১০০ টাকা এবং আলুর ঝোলের সঙ্গে ডিম সিদ্ধ দিয়ে খেলে দিতে হয় ৬০ টাকা। 

ওই হোটেলে খেতে আসা লোকজন এ প্রতিবেদককে বলেছেন, একদম ঘরোয়া পরিবেশে খাওয়া যায় এখানে। দামেও সস্তা। ৪-৫ প্লেট ভাত অতিরিক্ত নিলেও দাম একই। তাই, পেট ভরে খাওয়া যাচ্ছে। এখানে এলে আমরা এ হোটেলেই সব সময় খাবার খাই।

হোটেল পরিচালনাকারী আবুল হাসনাত গাজী বলেন, কখনো কখনো শুধু আনলিমিটেড ভাতই নয়, বরং ডাল ও ভর্তাও কয়েকবার নিজের হাতে নিয়ে খাচ্ছে মানুষ। তা দেখে মানসিক তৃপ্তি পাই। এখানে আমার নেতৃত্বে চারজন কাজ করছে। এমন মহৎ উদ্যোগে জড়িত হতে পেরে ভালো লাগছে।

চাঁদপুর সদরের লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য মো. শাহজাহান বেপারী বলেছেন, হাটে আনা গরু যিনি কিনেন তার কাছে ৩০০ টাকা এবং যিনি বিক্রি করেন তার কাছে মাত্র ২০০ টাকা হাসিল নেওয়া হয়। এখানে দিনে কয়েক হাজার মানুষের সমাগম হয়। হাটে আসা মানুষের সুবিধার্থে অচিরেই খাবারের মেনুতে আরো কিছু আইটেম যোগ করার পরিকল্পনা আছে। মানুষ যাতে কম দামে আরো ভালো খাবার খেতে পারেন, সে চিন্তা থেকেই আমরা হোটেলটি পরিচালনা করছি।

ঢাকা/জয়/রফিক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়