ঢাকা     মঙ্গলবার   ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ১ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

ধামরাই বাজারে চাল-ডাল স্থিতিশীল, বেড়ছে সবজি-আলু-পেঁয়াজের দাম

সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৪১, ১২ নভেম্বর ২০২৫   আপডেট: ১৩:৫৭, ১২ নভেম্বর ২০২৫
ধামরাই বাজারে চাল-ডাল স্থিতিশীল, বেড়ছে সবজি-আলু-পেঁয়াজের দাম

ধামরাই বাজারের একটি সবজির দোকান।

সরবরাহের ঘাটতিতে ঢাকার ধামরাইয়ের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারের দামে ঊর্ধ্বগতি দেখা গেছে। অতিরিক্ত দাম নিয়ে অসন্তোষ জানিয়েছেন ক্রেতারা। আর বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে দাম বাড়ায় কমেছে বিক্রি।

সরেজমিনে বুধবার (১২ নভেম্বর) সকালে ধামরাইয়ের বড় বাজার, কালামপুর, ধানতারা, হাতকোড়া, বারবাড়িয়া, কাওয়ালীপাড়া, বাথুলিসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলোতে খোঁজ নিয়ে এসব তথ্য জানা যায়। 

এসব বাজারে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা দরে, যা গত সপ্তাহে ছিল ২০ টাকা করে। গেল সপ্তাহে ১০০ টাকা প্রতি কেজি বিক্রি হওয়া পেঁয়াজ এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। কাঁচা মরিচ গেল সপ্তাহে ছিল ১২০ টাকা, এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা প্রতি কেজি। আদা ১৬০ টাকা প্রতি কেজি, ১২০ টাকা কেজি রসুন ও শুকনা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকা প্রতি কেজি দরে। এগুলোর দাম গেল সপ্তাহের তুলনায় অপরিবর্তিত রয়েছে। 

সবজির বাজারেও দামের কিছুটা হেরফের দেখা যায়। বেগুন গেল সপ্তাহের তুলনায় ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা প্রতি কেজি, কদর ১০ টাকা বেড়ে ৫০ টাকা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে, করলা ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। অপরিবর্তিত রয়েছে কিছু সবজির দাম। এরমধ্যে ফুল কপি ১০০ টাকা কেজি, মুলা ৪০ টাকা কেজি, পটল ৮০ টাকা কেজি, টমেটো ১২০ টাকা কেজি, শসা ৬০ টাকা প্রতি কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর কিছুটা কমেছে বাঁধা কপির দাম। গেল সপ্তাহে ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হওয়া বাঁধা কপি এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা করে। 

চাল, আটা ও তেলের বাজারে দেখা গেছে স্থিতিশীলতা। ২৯ জাতের চাল ৬০ টাকা প্রতি কেজি, চিনিগুড়া চাল ও রাজভোগ চাল ১২০-১৩০ টাকা কেজি, আটা ৪৫-৫০ টাকা প্রতি কেজি, চিকন মসুর ডাল ১৬০ টাকা কেজি, মোটা মসুর ডাল ৯০-১০০ টাকা ও সয়াবিন তেল ১৮৮ টাকা লিটার বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় অসন্তোষ জানিয়েছেন ক্রেতারা। অবিলম্বে দাম কমাতে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

দিপংকর দাস নামে একজন ক্রেতা বলেন, “দাম তো বাড়ছেই শুধু, কমার নাম নাই। এভাবে চললে খাবো কীভাবে? চলবো কীভাবে?”

অন্য দিকে বিক্রেতারা বলছেন, গেল সপ্তাহের তুলনায় সরবরাহের কিছুটা ঘাটতি থাকায় দাম কিছুটা বেড়েছে। 

মাসুদ রানা নামে একজন বিক্রেতা বলেন, “পাইকারি বাজারে দাম বেড়েছে। আমরা বেশি দামে কিনছি। তাই সামঞ্জস্য করে বিক্রি করতে হচ্ছে।”

ঢাকা/সাব্বির/এস

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়