বুদ্ধিজীবী দিবসে ইতিহাস-ঐতিহ্য পরিষদের আলোচনা সভা
আলোচনা সভা, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও সাংস্কৃতিক আয়োজনের মধ্য দিয়ে যথাযথ মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করেছে ‘ইতিহাস ও ঐতিহ্য পরিষদ’।
রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) ঢাকার বিজয় সরণিতে সামারিক জাদুঘরের মাল্টিপারপাস অডিটোরিয়ামে এই অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
এতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অংশ নেন মুক্তিযোদ্ধা, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, বিশিষ্ট ব্যক্তি, তরুণ ও শিশুরা।
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও উপহার প্রদানের মাধ্যমে সম্মান জানানো হয় অনুষ্ঠানে। এ ছাড়া চিত্রাঙ্গন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিশুদের মধ্যে সনদ ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। শিশুদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন তিনি।
তিনি বলেন, “শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস কেবল একটি ঐতিহাসিক স্মরণোৎসবই নয়, তার চেয়েও বেশি কিছু। বুদ্ধিজীবী দিবস উদযাপন হলো যৌথ ত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন এবং ভারত ও বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ অংশীদারত্বের প্রতি এক নবায়িত অঙ্গীকার।”
চিত্রশিল্পী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আবুল বারক আলভীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ইতিহাস ও ঐতিহ্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. আশরাফুল ইসলাম।
আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও গবেষক অধ্যাপক ফকরুল আলম, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী মুক্তিযোদ্ধা শাহীন সামাদ এবং শহীদ বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতার কন্যা অধ্যাপক মেঘনা গুহঠাকুরতা।
অনুষ্ঠানে ঢাকার নালন্দা বিদ্যালয়, অরণি বিদ্যালয়, তক্ষশিলা বিদ্যালয়, টানটোন আর্ট স্কুল, কার্ড আর্ট একাডেমির শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা অংশ নেন।
ঢাকা/রায়হান/রাসেল