পুত্রের হাতে সস্ত্রীক খুন হলেন অভিনেতা-পরিচালক?
স্ত্রীর সঙ্গে রব রেইনা, নিক (বাঁ থেকে)
হলিউডের কিংবদন্তি পরিচালক-অভিনেতা রব রেইনা ও তার স্ত্রী মিশেল সিঙ্গার রেইনার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্রেন্টউডে অবস্থিত রব-মিশেলের বাড়ি থেকে তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
মৃত দম্পতির একাধিক ঘনিষ্ঠজনের বরাত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গণমাধ্যম পিপল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, কিংবদন্তি পরিচালক রব রেইনা (৭৮) ও তার স্ত্রী মিশেল সিঙ্গার রেইনাকে (৬৮) হত্যা করেছে তাদের পুত্র নিক। তবে এই তথ্য এখনো নিশ্চিত করেনি পুলিশ।
রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকাল আনুমানিক ৩টা ৩০ মিনিটে লস অ্যাঞ্জেলেস ফায়ার ডিপার্টমেন্টকে একটি বাড়িতে চিকিৎসা সহায়তার জন্য ডাকা হয়। তারা সেখানে পৌঁছে ৭৮ বছর বয়সি একজন পুরুষ ও ৬৮ বছর বয়সি এক নারীকে মৃত অবস্থায় পায়। নিহত এই দুজনই হলেন রব ও মিশেল।
পুলিশ জানিয়েছে, রব-মিশেল দম্পতির ৩২ বছর বয়সি পুত্র নিক জীবিত আছেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে এ ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
বরেণ্য মার্কিন কমেডিয়ান কার্ল রেইনা ও অভিনেত্রী-গায়িকা এস্টেল লেবোস্ট দম্পতির পুত্র রব রেইনা। ১৯৪৭ সালের ৬ মার্চ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে জন্মগ্রহণ করেন রব রেইনা। ষাটের দশকে অভিনেতা হিসেবে রুপালি জগতে ক্যারিয়ার শুরু করেন রব। তার অভিনীত প্রথম সিনেমা ‘এন্টার লাফিং’। এটি মুক্তি পায় ১৯৬৭ সালে। তবে ১৯৭১ সালে ‘অল ইন দ্য ফ্যামেলি’ শিরোনামে টিভি সিরিজে ‘মাইক’ চরিত্রে অভিনয় করে খ্যাতি কুড়ান রব। ক্যারিয়ারে অনেক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন এই অভিনেতা।
আশির দশকের মাঝামাঝি সময়ে পরিচালনায় নাম লেখান রব রেইনা। তার নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘দিস ইজ স্পাইনাল ট্যাপ’। এটি ১৯৮৪ সালে মুক্তি পায়। তার নির্মিত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হলো—স্ট্যান্ড বাই মি (১৯৮৬), দ্য প্রিন্সেস ব্রাইড (১৯৮৭), হোয়েন হ্যারি মেট স্যালি (১৯৮৯), আ ফিউ গুড মেন (১৯৯২) প্রভৃতি।
‘হোয়েন হ্যারি মেট স্যালি’ সিনেমার শুটিংয়ের সময়ে মিশেলকে হবু স্ত্রী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন অভিনেতা-নির্মাতা রব। ১৯৮৯ সালে বিয়ে করেন তারা। এ দম্পতির তিনটি সন্তান রয়েছে। তারা হলেন—জ্যাক (পুত্র), নিক (পুত্র) ও রোমি (কন্যা)।
রব-মিশেল দম্পতির পুত্র নিক ২০১৬ সালে পিপল-কে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন। তাতে তার বহু বছরের মাদকাসক্তির সংগ্রামের কথা বলেছিলেন। কিশোর বয়সে মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছিলেন নিক। মাত্র ১৫ বছর বয়স থেকে বারবার রিহ্যাবে যাতায়াত করতে থাকেন তিনি। কিন্তু আসক্তি যত বাড়তে থাকে, ততই বাড়ি থেকে দূরে সরে যান। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে দীর্ঘ সময় গৃহহীন অবস্থায় কাটান বলেও জানিয়েছিলেন নিক।
ঢাকা/শান্ত