ঢাকা     রোববার   ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ১৪ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

নান্দাইলে মাইকে ঘোষণা দিয়ে সংঘর্ষের আয়োজন, আহত ৩০

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:৩৩, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫  
নান্দাইলে মাইকে ঘোষণা দিয়ে সংঘর্ষের আয়োজন, আহত ৩০

ময়মনসিংহের নান্দাইলে মাইকে ঘোষণা দিয়ে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, নান্দাইল উপজেলার পাঁচরুখি গ্রামের বাচ্চু মিয়া (৫০) নামের এক আদম ব্যবসায়ী ওই এলাকার কমপক্ষে ১৫ জনকে সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশে পাঠান। বিদেশে গিয়ে অধিকাংশ ব্যক্তি কাজ না পেয়ে পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন বা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এর বিচার চাইতে পরিবারের লোকজন আদম ব্যবসায়ী বাচ্চু মিয়ার দ্বারস্থ হলে কোনো কাজ হয়নি। উল্টো বাচ্চু মিয়া তাদেরকে হয়রানি করেন বলে অভিযোগ আছে।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারগুলো এলাকার সালিশকারী সোহেল ভেন্ডারে কাছে গিয়ে বিচার চাইলে তিনি আদম ব্যবসায়ী বাচ্চুর মিয়ার কাছে জানতে চান, কবে নাগাদ বিদেশে যাওয়া লোকজনের আকামা দেওয়া হবে? এ নিয়ে বাচ্চু ও সোহেল ভেন্ডারের মধ্যে বিবাধ সৃষ্টি হয়। বাচ্চু মিয়ার হাতে সোহেল লাঞ্চিত হলে বিরোধ তীব্র হয়। গত শনিবার সকালে সোহেল ভেন্ডারের লোকজন বাচ্চু মিয়ার বসতঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়ে ব্যাপক ক্ষতি করে। এ সময় উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়।

পরদিন রবিবার সকালে সোহেল ভেন্ডারের পক্ষ থেকে মাইকে ঘোষণা দেওয়া হয় যে, বাচ্চুর অপকর্মের ঘটনায় প্রতিবাদ জানানো হবে। সবাইকে জমায়েত হতে বলা হয়। এর কিছুক্ষণ পরপরই বাচ্চুর পক্ষ থেকেও মাইকে ঘোষণা দেওয়া হয় যে, সোহেল ভেন্ডারের জমায়েত প্রতিহত করা হবে। একপর্যায়ে মুহূর্তেই দুই গ্রামের লোকজন লাঠি ও দেশীয় অস্ত্রসহ মারমুখী অবস্থান নিতে থাকে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে আর কোনো সংঘর্ষ হয়নি।

তবে, একদিকে শেরপুর গ্রাম ও অপরদিকে পাঁচরুখি গ্রামের হাজার হাজার লোক সশস্ত্র অবস্থায় হামলার প্রস্তুতি নিয়ে অবস্থান নেয়। এর মধ্যে দুপুর দেড়টার দিকে একদল সেনা সদস্য ঘটনাস্থলে গিয়ে শেরপুর প্রামের লোকজনকে সরিয়ে দিয়ে কিছু দূরে পাঁচরুখি বাজারে যায়।

ওই বাজারে অবস্থান করা প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুর কালাম জানিয়েছেন, জনতার জমায়েত দেখে সেনাবাহিনী হঠাৎ উপুর্যপরি লাঠিচার্জ করলে বেশ কয়েকজন আহত হন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে যায় জনতা। তারা সেনাবাহিনীকে লক্ষ করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। ওই সময় রক্ষা পেতে সেনাবাহিনীর বেশ কয়েকজন সদস্য একটি ঘরে আশ্রয় নেয়। বেশ কিছুক্ষণ পর স্থানীয় লোকজন তাদেরে উদ্ধার করে গাড়িতে তুলে দেয়।

এ বিষয়ে নান্দাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল আমীন বলেন,পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ওই সময় সেনাবাহিনী লাঠিচার্জ করে। এতে অনেকেই দৌড়-ঝাঁপ শুরু করে। ওই সময় সেখানে কিছু উত্তেজনা ছিল।

ঢাকা/মিলন/রফিক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়