বৃহত্তর ঐক্যের জায়গা থেকে জামায়াতের সঙ্গে জোট: নাহিদ
বৃহত্তর ঐক্যের জায়গা থেকে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বাধীন জোটে যোগ দিয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম।
রবিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে এমনটা জানান তিনি। রাজধানীর বাংলামোটরে রূপায়ণ টাওয়ারে অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন হয়।
এদিকে, এনসিপির সঙ্গে নির্বাচনী জোটের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান। রবিবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন তিনি।
জামায়াতের আমির বলেন, “আমরা ৮ দল অনেক দিন ধরে একসঙ্গে আন্দোলন করে আসছি। এখন আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এবং কর্নেল অলি আহমদ নেতৃত্বাধীন এলডিপি। আমাদের আসন সমঝোতা প্রায় চূড়ান্ত, কিছু আলোচনা বাকি আছে। সেগুলো আশা করি শিগগির শেষ হবে। এরপর আমরা ঘোষণা করব।”
নাহিদ ইসলাম বলেন, “আমরা প্রথম থেকে এনসিপির পক্ষ থেকে বলে এসেছি আসন্ন নির্বাচনে এককভাবে অংশ নিতে চাই। আমরা ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার কথা বলেছিলাম।”
“পরবর্তীকালে দুটি দলের সঙ্গে আমাদের নির্বাচনী সমঝোতা হয়েছিল। আমরা তখন তিন দল একত্রে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।”
এরপর পরিস্থিতি পাল্টে যায় উল্লেখ করে এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, “এর মধ্যে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির শাহাদাতবরণ, তাকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা এদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। তার শাহাদাতবরণের মধ্য দিয়ে দেখা গেল এদেশে আধিপত্যবাদী শক্তি, আগ্রাসনবাদী শক্তি এখনো সক্রিয়।”
“গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যে শক্তিকে পরাজিত করেছিলাম, তারা নানাভাবে চক্রান্ত করছে। তারা নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করছে। সংস্কার কার্যক্রম, বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা ব্যাহত করতে চাইছে। জুলাই প্রজন্মকে নিঃশেষ করার চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে তারা।”
তিনি বলেন, “সেদিন ওসমান হাদিকে তারা গুলি করেছে, কাল আপনাকে, এরপর আমাকে গুলি করবে। সার্বিক পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে আমাদের মনে হয়েছে, নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য প্রতিযোগিতাপূর্ণ করার জন্য এবং আধিপত্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে বৃহত্তর ঐক্য প্রয়োজন। সেই তাগিদ থেকে জামায়াতসহ সমমনা আট দলের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। তাদের সঙ্গে আমরা নির্বাচনী সমঝোতায় সম্মত হয়েছি।”
নাহিদ বলেন, “এটি কেবল নির্বাচনি বৈতরণী পার হওয়ার জন্য জোট নয়। আমরা যে সংস্কার এবং বিচারের কথা বলে আসছি, আধিপত্যবাদ এবং দুর্নীতিবিরোধী যে আমাদের অবস্থান, সেটা রক্ষা করতে হবে, জুলাই প্রজন্মকে রক্ষা করতে হবে। যে আকাঙ্ক্ষায় আমাদের গণঅভ্যুত্থান, সেই আকাঙ্ক্ষা থেকে আমরা এই বৃহত্তর ঐক্যের জায়গায় পৌঁছেছি।”
ঢাকা/রায়হান/সাইফ