আপসহীন নেত্রীর মৃত্যুতে স্তব্ধ ঠাকুরগাঁও, সর্বস্তরের মানুষের শোক
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
বেগম খালেদা জিয়ার রুহের মাগফিরাত কামনায় বিএনপি নেতা-কর্মীদের দোয়া মাহফিল।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ঠাকুরগাঁওয়ে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে। দল-মত নির্বিশেষে রাজনৈতিক নেতা-কর্মী থেকে শুরু করে সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে দেখা গেছে শোক ও আবেগঘন পরিবেশ।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) ভোর থেকে বেগম জিয়ার মৃত্যু সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার পরপরই ঠাকুরগাঁও শহরের বিভিন্ন রাজনৈতিক কার্যালয়ে নেমে আসে নীরবতা। বিএনপির জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কার্যালয়গুলোতে কালো ব্যানার টানানো হয় এবং নেতাকর্মীরা কালো ব্যাজ ধারণ করে শোক প্রকাশ করেন।
নেতাকর্মীরা বলছেন, বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন আপসহীন নেতৃত্বের প্রতীক। গণতন্ত্র, ভোটাধিকার ও মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে তিনি আজীবন অটল ছিলেন। তার মৃত্যু জাতির জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।
শুধু রাজনৈতিক অঙ্গনেই নয়, সাধারণ মানুষের মাঝেও দেখা গেছে গভীর শোক। অনেকেই তাকে স্মরণ করছেন একজন সাহসী, দৃঢ়চেতা ও দেশপ্রেমিক নেত্রী হিসেবে।
ঠাকুরগাঁওয়ের সিনিয়র আইনজীবী মো. বদিউজ্জামান বাদল চৌধুরী বলেন, “আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি। পর্যাপ্ত চিকিৎসা না পাওয়ায় তিনি আজ চিরবিদায় নিয়েছেন। এতে আমরা গভীরভাবে মর্মাহত ও শোকাহত। মহান আল্লাহর কাছে তার রুহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং তাকে জান্নাত নসিব করার পাশাপাশি শোকাহত পরিবারকে ধৈর্য ধারণের শক্তি দান করুক।”
এদিকে বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দলীয়ভাবে সাত দিনের শোক কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। এসময় দলের সকল কার্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন, দোয়া মাহফিল এবং বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. পয়গাম আলী বলেন, “বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের প্রতীক। তার মৃত্যুতে আজ বাংলাদেশ একজন অভিভাবককে হারিয়েছে। এতে আমরা গভীরভাবে মর্মাহত ও শোকাহত। মহান আল্লাহর কাছে তার রুহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং জান্নাতের উচ্চ মাকাম দান করার জন্য দোয়া করছি।”
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল আনুমানিক ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
ঢাকা/হিমেল/এস