ঢাকা     মঙ্গলবার   ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ১৫ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

প্রয়াত অধ্যাপক আবু সুফিয়ানের ‘বীর প্রতীক’ খেতাব বাতিল

বিশেষ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:২৮, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫  
প্রয়াত অধ্যাপক আবু সুফিয়ানের ‘বীর প্রতীক’ খেতাব বাতিল

প্রয়াত অধ্যাপক আবু সুফিয়ানের ‘বীর প্রতীক’ খেতাব বাতিল করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। একইসঙ্গে তিনি আদৌ মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন কি না, তা যাচাইয়ের জন্য নোটিশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। 

সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক শাহিনা খাতুনের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আরো পড়ুন:

মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, খুলনার দৌলতপুর উপজেলার বাসিন্দা অধ্যাপক আবু সুফিয়ানে (পিতা: মৃত সামসুদ্দিন বিশ্বাস) নামে ২২ নভেম্বর ২০২০ সালে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বেসামরিক গেজেট (নং-৪১৯৩) প্রকাশিত হয়। পরবর্তীতে তার স্ত্রী সাবেক প্রতিমন্ত্রী বেগম মুন্নুজান সুফিয়ান একটি ডিও লেটারের মাধ্যমে স্বামীর নামের শেষে ‘বীর প্রতীক’ যুক্ত করার আবেদন করেন। ওই ডিও লেটারে মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের কথা উল্লেখ করা হলেও তা সঠিক নয় বলে অভিযোগ ওঠে।

ডিও লেটারের ভিত্তিতে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ১৫ জুন ২০২৩ সালে ৪৮.০০.০০০০.০০৪.৩১.০৫২.২০১৯/২৮৭ নম্বর প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে অধ্যাপক আবু সুফিয়ানের নামের সঙ্গে ‘বীর প্রতীক’ যুক্ত করে বেসামরিক গেজেট সংশোধন করে।

এ বিষয়ে সম্প্রতি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হলে বিষয়টি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নজরে আসে। এরপর জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) ১০২তম সভায় বিষয়টি আলোচনা হয়। সভায় ২০২৩ সালের ১৫ জুন সংশোধিত প্রজ্ঞাপন বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং অধ্যাপক আবু সুফিয়ান মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন কি না, তা যাচাইয়ের জন্য নোটিশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য বীরত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৭৩ সালে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ৪৭৬ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে বীর শ্রেষ্ঠ, বীর উত্তম, বীর বিক্রম ও বীর প্রতীক খেতাবে ভূষিত করে গেজেট প্রকাশ করা হয়। ওই তালিকায় অধ্যাপক আবু সুফিয়ানের নাম নেই। পরবর্তীতে মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য বীরত্বের জন্য নতুন করে আর কাউকে রাষ্ট্রীয় খেতাব দেয়া হয়নি।

মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ২০২৩ সালের সংশোধিত গেজেটের মাধ্যমে যে ভ্রান্ত ধারণার সৃষ্টি হয়েছিল, তা নিরসনের লক্ষ্যেই সর্বশেষ এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রফিক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়