ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

কেন খাবেন পিনাট বাটার?

বিল্লাল হোসেন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:৫৫, ১৬ জানুয়ারি ২০২১  
কেন খাবেন পিনাট বাটার?

পিনাট বাটার বা চিনাবাদামের মাখন বিশেষ করে বৃদ্ধ ও শিশুদের কাছে দারুণ একটি জনপ্রিয় খাবার। চিনাবাদামের মাখন খুবই পুষ্টিকর একটি। এর মাখনের রয়েছে নানা ধরনের পুষ্টি উপাদান, যেমন- প্রোটিন, ফাইবার, ফ্যাট, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, জিংক, নিয়াসিন, ভিটামিন-ই ও ভিটামিন বি-৬ ইত্যাদি। চিনা বাদামের মাখন আমাদের দেহে নানা ধরনের উপকার সাধন করে, কয়েকটি তুলে ধরা হলো। 

পিনাট বাটারে কোনো অ্যাডেড সুগার নেই, তবে এতে আছে প্রোটিন, ফাইবার ও ফ্যাট, যা রক্তে সুগার লেভেলে তেমন কোনো প্রভাব ফেলবে না। ফলে ডায়াবেটিস থাকবে নিয়ন্ত্রণে। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা অনেক দিন যাবত ডায়াবেটিসে ভুগছেন, তাদের ম্যাগনেসিয়াম লেভেল কমে যায়। পিনাট বাটারে প্রচুর ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে। সুতরাং ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুব ভালো একটি পথ্য এটি।

অনেকেই দিন দিন ওজন বেড়ে যাওয়া নিয়ে খুব চিন্তায় থাকেন। চিন্তার অবসার ঘটাতে হলে প্রয়োজন চিনাবাদামের মাখন। কারণ এতে উপস্থিত ফাইবার ও প্রোটিন ক্ষুধা কমিয়ে দিয়ে ওজন কমাতে দারুণ ভূমিকা পালন করে। 

পিনাট বাটারে উপস্থিত মনো ও পলি আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি এসিড, নিয়াসিন, ভিটামিন-ই এবং ম্যাগনেসিয়াম হৃদরোগ প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে, কেউ যদি নিয়মিত পিনাট বাটার খায়, তাহলে তার লিপিড প্রোফাইলের উন্নতি হবে।

যারা বডি বিল্ডিং করেন, তাদের জন্য দারুণ এক টনিক হলো পিনাট বাটার। এতে উপস্থিত প্রোটিন আপনার পেশী গঠনে ভূমিকা রাখবে। এতে উপস্থিত উচ্চ ক্যালরি যুক্ত ফ্যাট দেহ গঠনে অংশগ্রহণ করে। এছাড়া এটি ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। 

সতর্কতা: যাদের পিনাট এলার্জি আছে, তারা সাবধান থাকুন।

লেখক: শিক্ষার্থী, ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়।

ইবি/মাহি 

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়