পুলিশ ও প্রশাসনের চাপে আন্দোলন ছেড়েছেন জবির নেতারা
জবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

কোটা সংস্কার নিয়ে দুই সপ্তাহ ধরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী নেতারা আন্দোলন ছেড়েছে। এতে আন্দোলনকারীরা দ্বিধাবিভক্ত হয়ে গেছে বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) একটি অংশ ঢাবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শাহবাগে গিয়ে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে। আরেকটি অংশ দুই সপ্তাহের আন্দোলনে থাকলেও আজ কোনো কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেনি।
বিভিন্ন সুত্র বলছে, পুলিশ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের চাপে তারা নেতৃত্ব ও আন্দোলন ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন। তাদের আন্দোলনে নেতৃত্ব ছাড়ার বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, আমাদের ক্যাম্পাসে যারা এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছিল, তারা এক ধরনের পদত্যাগ করে এই আন্দোলন থেকে সরে গেছে বলে জানিয়েছে। পরবর্তীতে ৬০০-৭০০ সাধারণ শিক্ষার্থী জোর করে বের হয়ে ভিক্টোরিয়া পার্কের সামনে গেলে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। এরপর ২০০-৩০০ জন সেই বাধা অতিক্রম করে সামনের দিকে অগ্রসর হওয়ার খবর পেয়েছি।
আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী কয়েকজন জানান, পুলিশের পক্ষ থেকে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া নেতাদের চাপ দেওয়া হয়েছে। আন্দোলনে নেতৃত্ব যেন না দেয়, সেজন্য ভয়ভীতিও দেখানো হয়েছে। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন পক্ষ থেকেও চাপ প্রয়োগ করা হয়েছে। তবে আন্দোলন ছেড়ে যাওয়া নেতারা বিষয়টি স্বীকার না করলেও আন্দোলনের আরেক অংশের কয়েকজন তা স্বীকার করেছেন।
এ বিষয়ে আন্দোলনের সমন্বয়কারী নেতা জসিম উদ্দিন বলেন, আমরা আজ আন্দোলনে যায়নি। আমাদের ৩৫ জনের একটি সেচ্ছাসেবক দল আছে, যারা কোটা আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছিল। কিন্তু অধিকাংশ স্বেচ্ছাসেবকের নিবন্ধন পরীক্ষা থাকায় প্রস্তুতি কারণে আজকের আন্দোলন অংশগ্রহণ করেনি।
আরেক সমন্বয়কারী সাজ্জাদ হোসেন মুন্না বলেন, নিবন্ধন পরীক্ষার থাকার কারণে আমিও আন্দোলনের অংশগ্রহণ করেনি। তবে কয়েকজন নেতা ক্যাম্পাসে থাকার পরেও আন্দোলনে যায়নি।
তবে আন্দোলনের কয়েকজন সমন্বয়কারী জানান, নেতাদের আন্দোলন ছাড়ার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করা হয়েছে। সে কারণে নেতৃত্বের একটি অংশ আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতা বলেন, পুলিশি চাপে অনেকে আন্দোলন না গেলেও আমরা অনেকেই সাধারণ শিক্ষার্থীর সঙ্গে বিশাল এক মিছিল নিয়ে শাহবাগে অবস্থান করছি।
আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থী শাহিন আলম শান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের আন্দোলনে যেতে নিরুৎসাহিত করছেন। এর মধ্যে সাধারণ শিক্ষার্থীরা কোনো নেতৃত্ব ছাড়াই শাহবাগের দিকে গেছে। আমাদের নেতৃত্ব মানা হচ্ছে না।
সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানান, যারা এ যাবৎ আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন, তারা হঠাৎ পিছু হটায় আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিচলিত না। বরং সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন সমন্বয়ক তৈরি করে আন্দোলনকে বেগবান করা হবে। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত সাধারণ শিক্ষার্থীরা রাজপথে থাকবে।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি জোনের এডিসি বদরুল আলম জানান, যেহুতু কোটা ব্যবস্থা সর্বোচ্চ আদালত কর্তৃক নির্ধারিত। এটার বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নিলে সেটা আইনানুগ হতে হবে, সেটা সেটা আমরা আন্দোলনকারীদের সংবেদনশীলতার সঙ্গে বুঝিয়েছি। লিখিত বা মুচলেখা না দিলেও তাদের একটা অংশ আমাদের কথা দিয়েছে যে, তারা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করবে না।
/লিমন/মেহেদী/
- ২ মাস আগে একমাত্র উপার্জনক্ষম ছেলেকে হারিয়ে দিশেহারা হাফিজুলের বাবা
- ৩ মাস আগে ৮ গুলি শরীরে নিয়ে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন সুজন
- ৫ মাস আগে ‘সন্তান হত্যার ভিডিও দেখা নরকসম কষ্টের’
- ৬ মাস আগে ‘দেশ স্বাধীন হবেই, প্রয়োজনে শহিদ হব’
- ৬ মাস আগে নিহত তাওহীদকে শহিদ স্বীকৃতি দিতে পরিবারের দাবি
- ৬ মাস আগে আবু সাঈদ হত্যা মামলা পিবিআইতে স্থানান্তর
- ৬ মাস আগে ফরিদপুরে গ্রেপ্তার ৬৫ জন জামিনে মুক্ত
- ৬ মাস আগে যবিপ্রবিতে বিবৃতি দিয়ে ‘গণপদত্যাগ’ করেছেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা
- ৬ মাস আগে ফরিদপুরে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ কার্যালয়ে আগুন
- ৬ মাস আগে ধামরাইয়ে আন্দোলনকারী-আওয়ামী লীগের সংঘর্ষ, আহত ৭
- ৬ মাস আগে সরকারের পতন এখন সময়ের ব্যাপার: মিনু
- ৬ মাস আগে এক দফা দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে জাবি শিক্ষার্থীরা
- ৬ মাস আগে ফরিদপুরে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে ২ ছাত্রলীগ নেতার পদত্যাগ
- ৬ মাস আগে ঝালকাঠিতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষ, আহত ১৫
- ৬ মাস আগে অগ্নি সন্ত্রাসের বিচার দাবি হাবিপ্রবি শিক্ষকদের