নোবিপ্রবিতে ১ হাজার শিক্ষার্থীকে কোরআন প্রদান
নোবিপ্রবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ১ হাজার শিক্ষার্থীর মাঝে অর্থসহ কোরআন বিতরণ করা হয়েছে।
বুধবার (৫ফেব্রুয়ারি) দুপুর ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে দাওয়াহ সার্কেলের আয়োজনে কোরআন ফেস্টিভালের আয়োজন করা হয়।
‘আল কোরআন একাডেমি লন্ডন’ এর সৌজন্যে কোরআন বিতরণ ছাড়াও আয়োজিত এ ফেস্টিভালে ইসলামি বিতর্ক, ক্যালিগ্রাফি ও কোরআন অলিম্পিয়াড প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
নোবিপ্রবি দাওয়াহ সার্কেলের সভাপতি আবরার হোসেনের সভাপতিত্বে ও রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ ইউসুফের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক মোখতার আহমদ, আল কোরআন একাডেমি লন্ডনের চেয়ারম্যান হাফেজ ড. মুনির উদ্দিন আহমদ, কর্নেল (অব.) আশরাফ আল দীন (পিএসসি) প্রমুখ।
কর্নেল (অব.) আশরাফ আল দীন বলেন, “কোরআন শুধু তেলাওয়াতের জন্য নয়, এটা বুঝেও পড়তে হবে। কোরআন পৃথিবীর মানুষের জীবন পরিবর্তন করতে এসেছে। যা মানুষকে অন্ধকার থেকে আলোতে নিয়ে আসে। কুরআনের সঙ্গে যারাই সম্পৃক্ত ছিল, তারাই শ্রেষ্ঠ হয়েছে।”
অধ্যাপক মোক্তার আহমদ বলেন, “জুলাই বিপ্লবের পূর্বে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কারো কাছে ইসলামী কোন বইপত্র পাওয়া গেলে, তাদের জঙ্গি বলে আখ্যায়িত করা হতো। যার একটা বড় কারণ ছিল, বস্তুকেন্দ্রিক শিক্ষাব্যাবস্থা। সেজন্য এখান থেকে বেড়িয়ে এসে ধর্মীয় নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও বস্তুগত উভয়ের সমন্বয়ে একটি এডুকেশনাল মোরাল তৈরি করতে হবে।”
হাফেজ ড. মুনির উদ্দিন আহমদ বলেন, “এ কোরআন বাসায় রেখে না দিয়ে বুকে ধারণ করতে হবে। তাহলেই সমাজের সব অসমতা দূর হবে। একমাত্র কোরআনই পারে সমাজকে আলোকিত করতে। এটি এমন একটি গ্রন্থ, যাতে কোনো ভুল নেই। পৃথিবীর ইতিহাসে এ পর্যন্ত কোনো বিজ্ঞানী, নৃবিজ্ঞানী, সাহিত্যিকরা ভুল খুঁজে পায়নি। তাই কোরআন অনুযায়ী সমাজ গঠনের কাজ করতে হবে।”
আলোচনা শেষে অতিথিবৃন্দ বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন।
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী