ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৩ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

ইবিতে দেশের প্রথম ফাউন্ডেশন কর্ণার হবে: আ. ছালাম

ইবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:৩৩, ২ জুলাই ২০২৫  
ইবিতে দেশের প্রথম ফাউন্ডেশন কর্ণার হবে: আ. ছালাম

বক্তব্য প্রদান করছেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আ. ছালাম খান।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আ. ছালাম খান বলেছেন, “দেশের প্রথম ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্ণার হবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি)। আমরা চিন্তা করছি, কিভাবে ইসলামের প্রচার-প্রসার করা যায়। ইবির স্কলাররা আমাদের বিভিন্ন সময়ে সহযোগিতা করেন। আমার দাবি, ভবিষ্যতেও তারা আমাদের সহযোগিতা করবেন।”

বুধবার (২ জুলাই) দুপুর দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ একাডেমিক ভবনের ২৩৭ নম্বর কক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালকের আগমন উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। ইবির আইন বিভাগ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।

আরো পড়ুন:

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “আপনারা সবসময় পড়াশোনা করবেন। মৌখিক পরীক্ষায় যেন সব প্রশ্নের সুন্দর উত্তর দিতে পারেন। অ্যালামনাইদের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া দরকার। বিভাগে মুট কোর্ট করা প্রয়োজন। এতে তারা পূর্ব থেকে শিখতে পারবে।”

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. হালিমা খাতুনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী।

এ সময় আইন অনুষদের ডিন ও বিভাগের অধ্যাপক ড. খন্দকার তৌহিদুল আনামসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন বিভাগের সভাপতি ও শিক্ষকবৃন্দসহ দুই শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে বিভাগের শিক্ষার্থী নাজমুল করিম অর্নব ও খানম নূহা বিনতে করিমের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. হালিমা খাতুন ও স্মৃতিচারণ করেন বিভাগের অধ্যাপক ড. নূরুন নাহার। 

উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, “তোমাদের সিনিয়র ভাই মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন। আমরা বড়দের দেখে বড়ো হই। ছালাম খান তোমাদের জন্য অনুপ্রেরণার।”

তিনি বলেন, “গত শাসনামলে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মৌখিক পরীক্ষায় অপমান করা হত, টুপি থাকলে বাদ দেওয়া হত। এখন অবশ্যই পরিবর্তন ঘটবে। এই পরিবর্তনের জন্য যারা জীবন দিয়েছে, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। পরিবর্তন না হলে আমরা এখানে আসতে পারতাম না। এই বিপ্লব আমাদের সুযোগ করে দিয়েছে। তাই তোমাদের গভীর জ্ঞান অর্জন করতে হবে।”

কোনো বিভাগ অ্যাক্সিলেন্স তৈরি করতে কোনো প্রোগ্রাম করলে উপাচার্য তাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতার আশ্বাস দেন। 

এ সময় সম্মাননা ক্রেস্ট দিয়ে মহা-পরিচালককে ও অতিথিদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন বিভাগের সভাপতি ও শিক্ষার্থীরা।

ঢাকা/তানিম/মেহেদী

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়