ঢাকা     রোববার   ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৭ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

সাংবাদিকের মোবাইল কেড়ে নিয়ে বললেন ‘ভুল করিনি, মাথা গরম ছিল’

বেরোবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:১১, ২৯ জুলাই ২০২৫   আপডেট: ১৯:১৪, ২৯ জুলাই ২০২৫
সাংবাদিকের মোবাইল কেড়ে নিয়ে বললেন ‘ভুল করিনি, মাথা গরম ছিল’

অভিযুক্ত সমন্বয়ক শাহরিয়ার সোহাগ (বামে)।

‎বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) বাজেট বৈষম্য ইস্যুতে চলমান আন্দোলনে নিজেদের মধ্যে বিভাজনে জড়িয়েছেন সমন্বয়কারীরা। তাদের কথা কাটাকাটির ভিডিও ধারণ করতে গেলে সমন্বয়ক শাহরিয়ার সোহাগের বিরুদ্ধে এক সাংবাদিকের মোবাইল কেড়ে নেওয়া অভিযোগ ওঠে।

‎মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে এ ঘটনা ঘটে। বিশ্ববিদ্যালয়ে এ নিয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। সাংবাদিকের সঙ্গে এমন আচরণকে অনেকে গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ হিসেবে দেখছেন।

আরো পড়ুন:

ভুক্তভোগী দৈনিক সংবাদ পত্রিকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি আবু সাঈদ বলেন, “আজ বেরোবি শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি ছিল। সময়মতো আমি উপস্থিত হয়ে দেখি, চত্বরে কেউ নেই। মূল ফটকের দিকে এগিয়ে গেলে কয়েকজন সমন্বয়ককে প্রস্তুতি নিতে দেখি। হঠাৎ দেখি সমন্বয়ক সোহাগ ও জয় নিজেদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ে জড়িয়ে পড়েন। আমি তার ভিডিও ধারণ করতেই সোহাগ ক্ষিপ্ত হয়ে আমার হাত থেকে মোবাইল কেড়ে নেন। পরে শিক্ষার্থীদের সহায়তায় মোবাইল ফেরত পেয়েছি।”

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থী আলবীর বলেন, “নেতাদের দ্বন্দ্বে আন্দোলন কার্যত ভণ্ডুল হয়ে যায়। আমরা আন্দোলনের জন্য জড়ো হলেও তারা নিজেদের মধ্যে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। এ ঘটনার ভিডিও করছিলেন সাংবাদিক আবু সাঈদ। তখনই সোহাগ মোবাইল কেড়ে নেন।”

‎ঘটনার বিষয়ে অভিযুক্ত সমন্বয়ক শাহরিয়ার সোহাগ বলেন, “আমি ফোন কেড়ে নিয়ে কোনো ভুল করিনি। তবে সরি বলেছি, কারণ তখন মাথা গরম ছিল। আবু সাঈদকে বলেছি, ‘বন্ধু, সিচুয়েশনটা বুঝতে পারছ? ভিডিও বন্ধ করার জন্যই ফোন নিয়েছি।’”

বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ড. মো ফেরদৌস রহমান বলেন, “সাংবাদিকরা এর আগেও ফ্যাসিস্টদের আক্রমণের শিকার হন। আবু সাঈদের ক্যাম্পাসে সাংবাদিকরা যদি আবারো এ রকম ঘটনার সম্মুখীন হয়, তাহলে এটা মেনে নেওয়ার মতো না। ছাত্রলীগের নামধারী কিছুই সমন্বয়ক আবার এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে।”

ঢাকা/‎সাজ্জাদ/মেহেদী

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়