ঢাকা     শুক্রবার   ১৭ মে ২০২৪ ||  জ্যৈষ্ঠ ৩ ১৪৩১

শেষ বলে চার হাঁকিয়ে খেলাঘরকে জেতালেন মাসুম

আবু হোসেন পরাগ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:০৬, ১৮ মার্চ ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
শেষ বলে চার হাঁকিয়ে খেলাঘরকে জেতালেন মাসুম

ক্রীড়া প্রতিবেদক : শেষ ওভারের নাটকীয়তায় রুদ্ধশ্বাস জয় পেয়েছে খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতি। শেষ বলে চার হাঁকিয়ে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে দলকে দারুণ এক জয় উপহার দিয়েছেন মাসুম খান।

এই জয়ে ওয়ালটন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের সুপার সিক্স নিশ্চিত করেছে খেলাঘর। ক্লাবের ইতিহাসে এই প্রথম প্রিমিয়ার লিগের সুপার সিক্সে উঠল তারা। ১১ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে দলটি। অন্যদিকে এই হারে প্রাইম ব্যাংকের সুপার সিক্সের আশা শেষ হয়ে গেছে। ১০ পয়েন্ট নিয়ে আট নম্বরে আছে তারা।

জয়ের জন্য শেষ ওভারে খেলাঘরের  দরকার ছিল ১২ রান, হাতে ৩ উইকেট। ডানহাতি পেসার দেলোয়ার হোসেনের প্রথম বল থেকে মাসুম নিতে পারেন শুধু এক রান। পরের বলে রান আউটে কাটা পড়েন মোহাম্মদ সাদ্দাম। ৪ বলে চাই ১১।

তৃতীয় বলে মাসুম নেন ২ রান। পরের বলে হাঁকান চার। পঞ্চম বলে আবার নেন ২ রান। শেষ বলে দরকার ৩। দেলোয়ারকে চার হাঁকিয়ে দলকে রুদ্ধশ্বাস জয় এনে দেন মাসুম।

রোববার সাভারের বিকেএসপিতে ২৬২ রান তাড়ায় খেলাঘরের জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছিলেন অবশ্য অমিত মজুমদার। মাত্র ২৩ রানেই দুই ওপেনারকে হারিয়ে বিপদে পড়েছিল খেলাঘর। তবে তৃতীয় উইকেটে রাফসান আল মাহমুদের সঙ্গে ৭৪ ও চতুর্থ উইকেটে অশোক মেনারিয়ার সঙ্গে ৭৯ রানের জুটিতে দলকে কক্ষপথে ফেরান অমিত।

রাফসান ৪০ রান করে ফিরলেও মেনারিয়া ও অমিত তুলে নেন ফিফটি। রান আউটে কাটা পড়ার আগে ৯৯ বলে ৭ চারে ৭১ রান করেন অমিত। মেনারিয়া ৫৭ বলে ৭ চার করেন ৬৩ রান। একই ওভারে মেনারিয়া ও মইনুল ইসলামের বিদায়ে আবার চাপে পড়ে যায় খেলাঘর।

দলের সংগ্রহ তখন ৬ উইকেটে ২১০ রান। শেষ ৮ ওভারে দরকার ৫২। তখনই উইকেটে আসেন মাসুম। মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন (২১) ও সাদ্দামকে (৯) সঙ্গে নিয়ে বাকি কাজটা সারেন মাসুম। ২৩ বলে ২ চার ও এক ছক্কায় তিনি ৩৬ রানে অপরাজিত ছিলেন। তবে ম্যাচসেরা হয়েছেন অমিত মজুমদার।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে এক বল বাকি থাকতে অলআউট হওয়ার আগে ২৬১ রান করেছিল প্রাইম ব্যাংক। মাত্র ৬ রানের জন্য সেঞ্চুরিবঞ্চিত হয়েছেন আল-আমিন। ৯৬ বলে ১০ চার ও ৩ ছক্কায় ইনিংস সর্বোচ্চ ৯৪ রানের ইনিংসটি সাজান তিনি। এ ছাড়া মেহরাব হোসেন জুনিয়র ৩৭ ও নাহিদুল ইসলাম করেন ২৮ রান।

৫৮ রানে ৪ উইকেট নিয়ে খেলাঘরের সেরা বোলার মোহাম্মদ সাদ্দাম। তানভীর ইসলাম ২৮ রানে ৩টি ও রবিউল ইসলাম রবি ২৫ রানে নেন ২টি উইকেট।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৮ মার্চ ২০১৮/পরাগ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়