পেঁয়াজ আমদানিতে ৫ শতাংশ শুল্ক মওকুফ

সরকারিভাবে পেঁয়াজ আমদানিতে বিদ্যমান ৫ শতাংশ শুল্ক মওকুফ করা হয়েছে। তবে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ৫ শতাংশ রেখে দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ আদেশ কার্যকর থাকবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

জানা যায়, বর্তমানে পেঁয়াজ আমদানিতে ১০ শতাংশ শুল্ক প্রযোজ্য রয়েছে। এর মধ্যে ৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক আর ৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক। তবে নতুন ঘোষণা অনুযায়ী আমদানি শুল্ক বাদ দেওয়ায় এখন শুধু নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক রয়েছে।

এর আগে চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি দেশের কৃষকদের স্বার্থে পেঁয়াজ আমদানিতে ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিল এনবিআর। ওই আদেশে আগের প্রত্যাহার করা ৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক পুনর্বহালের পাশাপাশি নতুন করে আরও ৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক আরোপ করা হয়।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ আমদানি করে ভারত থেকে। সম্প্রতি দেশটির বেঙ্গালুরে অতিবৃষ্টি ও বন্যা হলে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দেন। তবে হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়া পেঁয়াজের দাম বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) থেকে কমতে শুরু করেছে।

শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) রাজধানীর বেশ কিছু পাইকারি ও খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি ৮ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। পাইকারি পর্যায়ে দেশি পেঁয়াজ কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকায়। আর ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৩-৫৪ টাকায়। যা খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়।