ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ০২ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৯ ১৪৩১

‘মিউচ্যুয়াল ফান্ড শেয়ার মার্কেটের বড় অপরচ্যুনিটি’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:২৩, ৬ অক্টোবর ২০২২  
‘মিউচ্যুয়াল ফান্ড শেয়ার মার্কেটের বড় অপরচ্যুনিটি’

মিউচ্যুয়াল ফান্ড এখন শেয়ার মার্কেটের সবচেয়ে অপরচ্যুনিটি বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাসোসিয়েশন অব অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিজ অ্যান্ড মিউচ্যুয়াল ফান্ডের (এএএমসিএমএফ) সভাপতি ড. হাসান ইমাম। তিনি বলেন, ‘আমি এখন ৫ টাকা দিয়ে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের এমন একটা ইউনিট কিনতে পারি, যেটার সম্পদ আছে ১০ টাকা। এ ছাড়া ওই ৫ টাকা দিয়ে আমি সাড়ে ৭ শতাংশ ডিভিডেন্ড পাই। যার ডিভিডেন্ড ইল্ড বা প্রকৃত লভ্যাংশ ১৫ শতাংশ। তাই এটা ইনভেস্টরদের জন্য বড় অপরচ্যুনিটি।’

বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহ ২০২২ উপলক্ষে অ্যাসোসিয়েশন অব অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিজ অ্যান্ড মিউচ্যুয়াল ফান্ডস (এএএমসিএমএফ) আয়োজিত ‘রোল অফ টেকনোলজি অ্যান্ড ইএসজি অ্যানালাইটিকস ইন সাসটেইনেবল ফাইন্যান্সিং’ শীর্ষক আলোচনাসভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তফা জব্বার। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএসইসির কমিশনার মিজানুর রহমান, বিএসইসির কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ এবং রুমানা ইসলাম, এএএমসিএমএফ এর সদস্যরাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

হাসান ইমাম বলেন, ‘আমাদের একচ্যুয়াল ক্লোজড মিউচ্যুয়াল ফান্ডকে যদি দেখি সিচিউশন কিন্তু এরকমই। যেটার ১০ টাকা এনএভি, সেটা ৫ টাকায় ট্রেড হচ্ছে। আপনারা যদি লংটার্ম ইনভেস্টর সত্যি হন, তাহলে এইসব মিউচ্যুয়াল ফান্ড কেনা উচিত। কারণ এরা বছর বছর ভালো ডিভিডেন্ড দিচ্ছে। অর্থাৎ ডিভিডেন্ড ইল্ড ৫ টাকায় কিনলে কত পাবো। ৫ টাকায় কিনলে কত ডিভিডেন্ড পাবো সেটা যদি হিসাব করেন, তাহলে অনেক ফান্ড ১৫ থেকে ২০ শতাংশ ডিভিডেন্ড দেয়।’ 

এএএমসিএমএফের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমি যখন এই মার্কেটে শুরু করি ২০০৮ সালে, তখন আমাদের অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট ছিল আড়াই হাজার কোটি টাকা, তিনটা এমসি ছিল এবং ফান্ড ছিল ১১টা। এখন সেই সিচিউশন যদি দেখি এমসি হচ্ছে ৫৪, ফান্ড হচ্ছে ৮৮ এবং অ্যাসেট হচ্ছে ১৫ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। অর্থাৎ মিউচ্যুয়াল ফান্ড সেক্টর গত ১৪ বছরে ৬০০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অর্থাৎ প্রতি বছর ১৫ শতাংশ বেড়েছে। ক্যাপিটাল মার্কেটে সেক্টরে এই গ্রোথ নেই। তাহলে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের রিয়ালিটি যদি আমরা দেখি পারফর্মিং ওয়েল। সবার পছন্দ যদি ২০ শতাংশ হয়, সেটা হয়তো দিতে পারছে না। কারণ হচ্ছে শেয়ার মার্কেট তো ২০ শতাংশ উঠছে না। কিন্তু ডিভিডেন্ড রিটার্ন ভালো এবং এই সেক্টরে গ্রোথ হয়েছে। এ ছাড়া মিউচ্যুয়াল ফান্ডে পার্টিসিপেশনটাও বেড়েছে প্রায় চার গুণ। এদিকের হিসাবেও মিউচ্যুয়ালের অবস্থান ভালো।’

তিনি বলেন, ‘মিডিয়াতে প্রায়ই দেখি এবং বিভিন্ন মহলে দেখি যে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের পারফর্মেন্স দূর্বল। কিন্তু রিয়ালেটিটা কি? আপনার যদি ডেটা দেখেন গত ১০ বছরের মধ্যে সাত বছরেই আউট পারফর্ম করেছে। গত বছরও যদি দেখি ইক্যুইটি মার্কেট মানে আমাদের শেয়ার মার্কেট উঠেছে ২.৫ শতাংশ। সেখানে এভারেজ ডিভিডেন্ড মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৬.৫ শতাংশ। অর্থাৎ ইক্যুইটি মার্কেটকে মিউচ্যুয়াল ফান্ড আউট পারফর্ম করেছে প্রায় ৪ শতাংশ। আমরা যদি মানি মার্কেট যেটাতে আমরা নরমলি ইনভেস্ট করি, সেটাও যদি দেখি সেখানেও আউট পারফর্ম করেছে মিউচ্যুয়াল ফান্ড। কাজেই ফান্ড ম্যানেজারদের বলা হয় আলফা অর্থাৎ তারা কি জেনারেট করলো ওভার বেঞ্চমার্ক। দুই ক্ষেত্রেই বাংলাদেশে এসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি আউট পারফর্ম করছে।’ 
 

এনটি/বকুল 

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়