ঢাকা     রোববার   ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ৩০ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

বিড়িশিল্পে কর প্রত্যাহারের দাবি শ্রমিকদের

নিয়াজ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:১৩, ১০ জুন ২০১৪   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বিড়িশিল্পে কর প্রত্যাহারের দাবি শ্রমিকদের

ফাইল ফটো

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : বিড়িশিল্প রক্ষায় প্রস্তাবিত বাজেটের অর্পিত কর প্রত্যাহার, বিড়ি শিল্পে শ্রম আইন বাস্তবায়নসহ সাতটি দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের নেতারা।

মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশন আয়োজিত বিশেষ সাধারণ সভা ও প্রতিনিধি সম্মেলনে ফেডারেশনের নেতারা এসব দাবি জানান।

বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি কমলেশ চন্দ্র দাশের সভাপতিত্বে প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সদস্য সুজিৎ রায় নন্দী, জাতীয় শ্রমিকলীগের কার্যকরী সভাপতি ফজলুুল হক মন্টু।

সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় শ্রমিক লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হুমায়ন কবির। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এমকে বাঙালি যুগ্ম সম্পাদক আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদম লোকমান  হেকিম। এছাড়াও বিভিন্ন জেলা থেকে আগত ফেডারেশনের নেতারা বক্তব্য রাখেন।

প্রধান অতিথি হুমায়ন কবির বলেন, ‘জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান বিড়িশিল্পের প্রতি বিমাতা সুলভ আচরণ করছে। এমনভাবে কর বসানো হচ্ছে যাতে লাখ লাখ শ্রমিক বেকার হয়ে যায়। অন্যদিকে সিগারেট শিল্পকে   সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। একই ধরনের পণ্যে দুই ধরনের নীতি হতে পারে না।  সিগারেট বিলাসী দ্রব্য। বিড়ি গরিবের দ্রব্য। বাজেটে গরিবদের পণ্যেও কর কমানো উচিত কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে করা হচ্ছে উল্টো। দুই বছরে বিড়ির ওপরে ৪০ শতাংশ কর বাড়ানো হয়েছে।’
 
সম্মেলনে বক্তরা বলেন, সরকারের অবহেলায় বর্তমানে দেশে বিড়িশিল্প ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এসে উপনিত হয়েছে। এ শিল্পে সংশ্লিষ্টরা  ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে। এরপর আবারো প্রস্তাবিত বাজেটে  বিড়িশিল্পে কর বাড়িয়ে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে ২০ লাখ বিড়ি শ্রমিককে।

বক্তরা বলেন, বিড়িশিল্প উপমহাদেশের অন্যতম কুঠির শিল্প। এই শিল্প সরকারের কোনো রকম অনুদান ও সহায়তা ছাড়াই শত শত বছর ধরে চলে আসছে। দেশ ও মানুষের স্বার্থে তামাকশিল্প সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হলে আমাদের কোনো আপত্তি নাই। কিন্তু বাজেটে বিড়িকে উপেক্ষা করে বিলাসী পণ্য সিগারেটকে সুবিধা দিলে বিড়ি শ্রমিকরা মেনে নেবে না। বিড়িশিল্প থেকে সরকার প্রতি বছর শত শত কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করছে।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১০ জুন ২০১৪/নিয়াজ/শামসুল

রাইজিংবিডি.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়