ঢাকা     বুধবার   ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৩ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

উচ্চ ঝুঁকিতে ৩২ বিমা কোম্পানি: আইডিআরএ চেয়ারম্যান

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৩৪, ২ জুলাই ২০২৫   আপডেট: ১৬:৩৫, ২ জুলাই ২০২৫
উচ্চ ঝুঁকিতে ৩২ বিমা কোম্পানি: আইডিআরএ চেয়ারম্যান

ছবি: ইন্টারনেট

উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে দেশের ৩২টি বিমা কোম্পানি। এর মধ্যে ১৫টি জীবন বিমা কোম্পানি অন্য ১৭টি সাধারণ বিমা কোম্পানি। কোম্পানিগুলোর ব্যবসা, সম্পদসহ সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা করে এই উচ্চ ঝুঁকিতে থাকার তথ্য বের করা হয়েছে।

বুধবার (২ জুলাই) রাজধানীর মতিঝিল আইডিআরএ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিমা খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) চেয়ারম্যান ড. এম আসলাম আলম এসব কথা বলেন। ঝুঁকিতে থাকা কোম্পানিগুলোর নাম প্রকাশ করেননি তিনি।

আরো পড়ুন:

তবে আইডিআরএর একটি সূত্রে জানিয়েছে, উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করে ১৫ বিমা কোম্পানির মধ্যে আছে-ফারইস্ট ইসলামী লাইফ, পদ্মা ইসলামী লাইফ, প্রাইম ইসলামী লাইফ, সানফ্লাওয়ার লাইফ, সানলাইফ, গোল্ডেন লাইফ, বায়রা লাইফ, প্রগ্রেসিভ লাইফ, এনআরবি ইসলামিক লাইফ, ডায়মন্ড লাইফ, বেস্ট লাইফ, প্রটেক্টিভ ইসলামী লাইফ, যমুনা লাইফ এবং স্বদেশ লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি।

ড. এম আসলাম আলম বলেন, “দেশের ৩৬টি জীবন বিমা কোম্পানির মধ্যে মাত্র ৬টি ভালো অবস্থানে রয়েছে। বিপরীতে উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে ১৫ বিমা কোম্পানি এবং ১৫টি রয়েছে মধ্যম ঝুঁকিতে।”

আইডিআরএ চেয়ারম্যান বলেন, “সময় মতো বিমা দাবি পরিশোধ না করায় এ খাতের প্রতি মানুষের আস্থাহীনতা বেড়েছে। যে কারণে বিমা খাত পিছিয়ে পড়ছে। স্বচ্ছতা, জবাবদিহীতা ছাড়া আস্থা বাড়বে না। বর্তমানে জীবন বিমা খাতে অপরিশোধিত দাবি আছে ৪৫ শতাংশ। আর সাধারণ বিমা খাতে প্রায় ৪৭ শতাংশ দাবি অপরিশোধিত রয়েছে।”

“এসব দাবি সময় মতো পরিশোধ, মানুষের আস্থা বাড়াতে বিভিন্ন আইন ও বিধি করার প্রস্তাব করা হয়েছে। ব্যাংক রেগুলেশনের আদলে বিমাকারীর রেগুলেশন অধ্যাদেশ প্রণয়নের সুপারিশ করা হয়েছে। এর আলোকে কেবল বিমা প্রতিষ্ঠান একীভূত হবে তেমন না। অবসায়ন, অধিগ্রহণসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হবে।”

তিনি বলেন, “জিডিপি অনুপাতে ২০১০ সালে বিমার হার ছিল শূন্য দশমিক ৯৪ শতাংশ। ২০২৩ সালে তা কমে শুন্য দশমিক ৪১ শতাংশে নেমেছে। ২০২৪ সালে তা আরো কমেছে। শুধু ২০২৪ সালে আইডিআরএ ২৪ হাজার ৮৫২টি অভিযোগ পেয়েছে। তবে জনবল সংকটের কারণে এসব তদারকি করা সম্ভব হচ্ছে না। আইডিআরএতে ১৬০ জন অনুমোদিত জনবলের বিপরীতে মাত্র ১০২ জন কর্মরত রয়েছে।”

এদিকে, সম্প্রতি বিমা কোম্পানিগুলোর নিবন্ধন নবায়ন ফি হাজারে ১ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে আইডিআরএ। নিবন্ধন নবায়ন ফি বাড়ানো হলে কোম্পানিগুলোর আর্থিক অবস্থার অবনতি হবে কি না এমন প্রশ্নোত্তরে আইডিআরএ চেয়ারম্যান বলেন, “বর্তমানে আমাদের লোকবল সংকট রয়েছে। লোকবল বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। লোকবল বাড়লে তখন আইডিআরএ’র খরচ বাড়বে। সবকিছু বিবেচনা করেই নিবন্ধন নবায়ন ফি বাড়ানো হচ্ছে।”

ঢাকা/নাজমুল/সাইফ

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়