ঢাকা     শনিবার   ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৫ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ের মাধ্যমে প্রবৃদ্ধির সুযোগ আছে: ব্রান্ড ফোরাম

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:২৬, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫  
ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ের মাধ্যমে প্রবৃদ্ধির সুযোগ আছে: ব্রান্ড ফোরাম

বৈশ্বিক ফ্যাশন শিল্পে টেকসই সাপ্লাই চেইন জোরদার করার লক্ষ্যে ব্র্যান্ড ফোরাম ও বিজিএমইএর প্রতিনিধিদের মধ্যে বৈঠক হয়েছে। সংগঠন দুটি টেকসই সাপ্লাই চেইনের জন্য অংশীদারত্ব জোরদার করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছে। ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ের মাধ্যমে প্রবৃদ্ধির সুযোগ আছে বলে বৈঠকে জনিয়েছে ব্রান্ড ফোরাম।

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে এ বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে ৪০টির বেশি ব্র্যান্ডের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। 

বৈঠকের মূল লক্ষ্য ছিল—পোশাক শিল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে অংশীদারত্বমূলক কৌশল এবং টেকসই উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাওয়া। 

বৈঠকে বিজিএমইএর সভাপতি মাহমুদ হাসান খানের নেতৃত্বে সংগঠনটির পক্ষে অংশ নিয়েছেন প্রথম সহ-সভাপতি সেলিম রহমান, সহ-সভাপতি মো. রেজোয়ান সেলিম, সহ-সভাপতি (অর্থ) মিজানুর রহমানসহ শীর্ষ নেতারা।

সভায় টেকসই সাপ্লাই চেইন নিশ্চিত করতে পোশাক ব্র্যান্ডগুলো এবং বিজিএমইএ কোন কোন ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরো জোরদার করতে পারে, সে বিষয়ে মতবিনিময় করা হয়। এছাড়া, পোশাক শিল্পের জন্য বাংলাদেশি পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ, সমন্বিত আচরণ বিধি প্রবর্তন, পণ্য বৈচিত্র্যকরণ, শ্রম সংস্কার, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, বাংলাদেশের এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের প্রস্তুতি, জিএসপি প্লাস থ্রেশহোল্ডের চ্যালেঞ্জসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

ব্র্যান্ডদের পক্ষ থেকে টেকসই সাপ্লাই চেইন নিশ্চিত করতে লজিস্টিক উন্নয়ন, এনবিআর ও কাস্টমস-বিষয়ক জটিলতাগুলো নিরসন, টেকসই ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন শ্রম পরিবেশ তৈরি এবং পরিবেশগত সাসটেইনেবিলিটির ওপর বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

বৈঠকে বিজিএমইএর অন্যতম এজেন্ডা ছিল— পোশাক শিল্পের জন্য সমন্বিত আচরণবিধি প্রণয়নে পোশাক ব্র্যান্ডগুলোর সহযোগিতা ও সমর্থন পাওয়া, যা সাপ্লাই চেইনে সকল অংশীদারকে উপকৃত করবে।

বিজিএমইএর পরিচালক নাফিস-উদ-দৌলা পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে দেখান যে, একটি সমন্বিত আচরণবিধি কীভাবে নিরীক্ষা প্রক্রিয়া সহজতর করে এবং কারখানার ওপর চাপ কমিয়ে শিল্পকে আরো নৈতিক, টেকসই ও দায়িত্বশীল করে তুলতে পারে।

আলোচনায় শ্রম সংস্কার বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পায়। বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান সভায় বাংলাদেশে শ্রম সংস্কারের সাম্প্রতিক অগ্রগ্রতি তুলে ধরে বলেন, এই সংস্কারগুলো শুধু আন্তর্জাতিক মানদণ্ড পূরণের জন্যই নয়, বরং একটি টেকসই ও নিরাপদ শিল্প পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য করা হচ্ছে।

তিনি ব্র্যান্ডগুলোকে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের এই ইতিবাচক পরিবর্তনে অংশীদার হিসেবে কাজ করার আহবান জানান।

বৈঠকে বিজিএমইএর নেতারা বাংলাদেশ থেকে পোশাক সোর্সিং বৃদ্ধি করা এবং আরো উদ্ভাবনী উচ্চ মানের পণ্য উৎপাদনে বাংলাদেশে সরবরাহকারীদের সাথে অংশীদারত্ব জোরদার করার জন্য ব্র্যান্ডদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

ব্র্যান্ড প্রতিনিধিরা বলেছেন, শিল্পে ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ের মাধ্যমে প্রবৃদ্ধির বিশাল সুযোগ রয়েছে। তারা বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজিতে (বিইউএফটি) টেকনিক্যাল ডিজাইন সেকশন খোলা এবং কারখানা পর্যায়ে তরুণ ফ্যাশন ডিজাইনারদের নিয়োগ দেওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন। এটি বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানিকারকদের কাছে ব্যান্ডগুলোর অন্যতম প্রত্যাশা।

বিজিএমইএর নেতারা পোশাক শিল্পকে আরো প্রতিযোগিতামূলক এবং নৈতিকভাবে শক্তিশালী করার জন্য শিল্পে বেটার প্রাইসিং মডেল, ইফিশিয়েন্সি মডেল প্রণয়নসহ শিল্পের প্রতিটি ক্ষেত্রে উদ্যোক্তাদের পাশে এগিয়ে আসার জন্য পোশাক ব্র্যান্ডগুলোকে আহ্বান জানিয়েছেন।

বৈঠকে উপস্থিত পোশাক ব্র্যান্ডগুলোর প্রতিনিধিরা বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের উন্নয়নে তাদের অব্যাহত সমর্থনের বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছেন।

ঢাকা/নাজমুল/রফিক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়