ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

ভিকারুননিসায় দেড় কোটি টাকার হিসাব নিয়ে বিরোধ

আবু বকর ইয়ামিন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:০৫, ২৮ এপ্রিল ২০২১   আপডেট: ১৯:৪৪, ২৮ এপ্রিল ২০২১
ভিকারুননিসায় দেড় কোটি টাকার হিসাব নিয়ে বিরোধ

রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ‌্যান্ড কলেজের অধ‌্যক্ষ কামরুন নাহার ও  কলেজের উন্নয়ন প্রকল্প পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক সিদ্দিকী নাসির উদ্দিনের মধ্যে মতবিরোধ তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাবদ ১ কোটি ৫৯ লাখ টাকা ব্যয়ের হিসাবে গরমিল দেখা দেওয়ায় এই বিরোধ তৈরি হয়েছে বলে কলেজ-সূত্রে জানা গেছে। 

কলেজ-সূত্রে জানা গেছে, উন্নয়নমূলক কাজের জন্য একাধিক কিস্তিতে ১ কোটি ৫৯ লাখ টাকা নিয়েছেন সিদ্দিকী নাসির উদ্দিন। অভিযোগ রয়েছে, ওই টাকার খাতওয়ারি কোনো খরচ দেখাননি তিনি। কোনো ভাউচারও দেননি। এ কারণে হিসাব চেয়ে চিঠি ইস্যু করেছেন কলেজের প্রিন্সিপাল। 

এই বিষয়ে জানতে চাইলে সিদ্দিকী নাসির উদ্দিন বলেন, ‘কলেজের প্রিন্সিপাল অনেক দিন ধরে প্রতিষ্ঠানে আসেন না। গত চার মাসে ৪ দিনও কলেজে আসেননি। তার বাসায়ও কোনো অভিভাবক বা গভর্নিং বোর্ডের সদস্যরা যেতে পারেন না। কলেজ থেকে যে পরিমাণ টাকা নেওয়ার কথা বলা হচ্ছে, তা ভুল। আর এই টাকা মঞ্জুর হওয়ার জন্য একটি কমিটি আছে। টাকার ব‌্যাপারে কমিটিতে জবাবদিহিতা করা আছে। প্রিন্সিপাল কিছু না জেনেই চিঠি ইস্যু করেছেন। এই চিঠি ইস্যুর কোনো এখতিয়ার তিনি রাখেন না।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যক্ষ কামরুন নাহার বলেন, ‘বিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত কাজ ও ভবন নির্মাণের জন্য এই পর্যন্ত প্রায় দুই কোটি টাকা নিয়েছেন  সিদ্দিকী নাসির উদ্দিন। কিন্তু  সেই টাকার কোনো বিল-ভাউচার জমা দেননি তিনি। বিষয়টি গভর্নিং বডির সভায় তাকে লিখিতভাবে জানানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই আলোকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এখনো তিনি টাকার হিসাব দেননি। উল্টো আমাকে গালাগালি করছেন।’

অধ‌্যক্ষ আরও বলেন, ‘আমি যোগ দেওয়ার পর ভবনের বিভিন্ন কাজের জন্য অর্থ চেয়েছেন সিদ্দিকী নাসির উদ্দিন। আমি তাকে নিয়ম মেনে বিল-ভাউচার দিতে বলি। ভাউচার না দেওয়ায় অর্থ ছাড়ে অনুমোদন দেইনি। তাই তিনি আমার অফিস রুম তালা দিয়ে শিক্ষকদের সামনে গালি দিয়েছেন। দুই ঘণ্টা পরে সেই তালা খুলে দেওয়া হওয়া হয়েছে। বিষয়টি গভর্নিং বডির সভাপতিকে জানানো হয়েছে। দ্রুত এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

অভিযোগের বিষয়ে সিদ্দিকী নাসির উদ্দিন বলেন, ‘অধ‌্যক্ষ আমার নামে মিথ্যাচার করছেন। তার চিঠি অফিসিয়াল চিঠি। তিনি আমাকে ডাকযোগে পাঠিয়েছেন। আমি উকিলের মাধ্যমে জবাব দিয়েছি। কিন্তু এই চিঠি ফেসবুক বা ম্যাসেঞ্জারে কিভাবে পাবলিশড হলো? আমাকে অপমান করাই তার মূল উদ্দেশ্য। তিনি আমার নামে ডাহা মিথ্যাচার করছেন।’

/ইয়ামিন/এনই/

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়