আদালত প্রাঙ্গণে দেখা গেলো ভিন্ন এক পরীকে

গ্ল্যামারকন্যা পরীমনি ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই আলোচিত। হঠাৎ গত ৪ আগস্ট যেন তার জীবনে ছন্দপতন ঘটে। সেদিন র‌্যাবের একটি দল তাকে আটক করে। সে সময় পরীমনির চোখে-মুখে ছিল চিন্তার ভাঁজ। কী হতে চলেছে তা হয়তো বুঝতেও পারেননি এই নায়িকা।

পরদিন বনানী থানায় মাদক মামলা করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয় তাকে। এরপর একাধিকবার আদালতে হাজির হতে হয়েছে পরীমনিকে। বিপুলসংখ্যক পুলিশ পাহাড়ায় তাকে আদালতে নেয়া হতো। আটকের পর একই পোশাকে কখনও পুলিশের গাড়িতে, আবার কখনও সিআইডির গাড়িতে আদালতে হাজির হতে দেখা গেছে তাকে। প্রিজন ভ্যানে পরীমনি কারাগারে যাচ্ছেন এ দৃশ্যও দেখা গেছে। এ সময় কখনও তাকে হাস্যোজ্জ্বল দেখা যায়নি। চোখে-মুখে ছিল চিন্তার ছাপ। 

জামিনে কারামুক্তির পর আজ পরীমনির ছিল প্রথম হাজিরার দিন। আজ আর তাকে কেউ আটক বা গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়নি। তিনি নিজেই গাড়িতে হাজির হন আদালতে। আজও আদালত প্রাঙ্গণে ছিল উপচে পড়া ভিড়। জনতার আজকের ভিড় হয়তো উপভোগ করেছেন এই নায়িকা। 

আজ ১৫ সেপ্টেম্বর হাজিরা দেয়ার জন্য বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটে পরীমনি ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত শিকদারের আদালতে হাজির হন। আদালত চত্বরে আসার পরই তিনি ভক্তদের হাত উঁচিয়ে অভিবাদন জানান। হাস্যোজ্জ্বল পরীমনি এবারও তার হাতে মেহেদী রঙে লেখা একটি বার্তা দিয়েছেন। সব মিলিয়ে আজ আদালত প্রাঙ্গণে দেখা গেলো  ভিন্ন এক পরীকে।

আদালত প্রাঙ্গণে আজ ছিল না পুলিশের বিশাল পাহাড়া। পুরো সময়টা পরীমনি ছিলেন রিল্যাক্স মুডে। কখনও হাসি মুখে কথা বলছেন, আবার কখনও মোবাইল ফোনে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। আটকের পর আজ প্রথম আদালতে হাসি-খুশি ছিলেন এই নায়িকা।

মাদক মামলায় দীর্ঘ ২৭ দিন আটক থাকার পর কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগার থেকে গত ১ সেপ্টম্বর সকাল ৯টা ৩২ মিনিটে জামিন পেয়ে কারা মুক্ত হন তিনি। সেদিনও পরীমনিকে হাস্যোজ্জ্বল দেখা গেছে। যেন মুক্ত আকাশে উড়ছেন পরী।