‘সেজানের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়েছিল শ্বেতা’
সেজান খানের সঙ্গে শ্বেতা তিওয়ারি, রাজা চৌধুরী
ভারতীয় টিভি ও চলচ্চিত্র অভিনেত্রী শ্বেতা তিওয়ারি। ১৯৯৮ সালে ভোজপুরী অভিনেতা রাজা চৌধুরীকে বিয়ে করেন। এ সংসারে জন্ম নেয় অভিনেত্রী পলক তিওয়ারি। পরে রাজার বিরুদ্ধে আদালতে নির্যাতনের মামলা করেন শ্বেতা। ২০১২ সালে রাজার সঙ্গে শ্বেতার বিবাহবিচ্ছেদ হয়। বিবাহবিচ্ছেদের বহু বছর পর রাজা চৌধুরীর অভিযোগ, ‘কসৌটি জিন্দেগি কি’ সিরিয়ালের সহশিল্পী সেজান খানের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছিল শ্বেতা।
কয়েক দিন আগে হিন্দি রুশকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন রাজা চৌধুরী। এ আলাপচারিতায় তিনি বলেন, “২০১২ সালে আমাদের ডিভোর্স হয়েছে। আমি মনে করি, এটা ২০০৩ সালেই হওয়া উচিত ছিল।”
সেজানের সঙ্গে শ্বেতার পরকীয়া সম্পর্কের ব্যাপারটি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে একটি ঘটনা বর্ণনা করেন রাজা চৌধুরী। তিনি বলেন, “আমাদের একটি গাড়ি ছিল। ওই গাড়িতেই আমার কাগজপত্র ছিল, আর আমি কোথাও যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলাম। এরপর আমি শ্বেতার শুটিং সেটে যাই। আমি পৌঁছে দেখি, শ্বেতা সেজানের সঙ্গে গাড়িতে করে আসছে। অথচ সকালে তাদের শুটিং শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তখনো তারা সেটে পৌঁছায়নি।”
“শ্বেতার প্রতি আমার বিশ্বাস ছিল। সহকর্মীর সঙ্গে যেতেই পারেন। কিন্তু যখনই প্রশ্ন করতাম, তখনই শ্বেতা আমাকে মাতাল বলত। শুধু পলকের (মেয়ে) জন্য শ্বেতার কটূক্তি সহ্য করেছি। যার ফলে, এ বিষয়েও চুপ থাকতাম।” বলেন রাজা চৌধুরী।
২০১৩ সালে অভিনেতা অভিনব কোহলির সঙ্গে সংসার পাতেন শ্বেতা। এ বিষয়ে রাজা চৌধুরী বলেন, “অভিনবকে ভাই হিসেবে পরিচয় করিয়েছিল শ্বেতা। সবার কাছেই অভিনবকে ভাই বলেই পরিচয় দিতো। পরে অভিনব শ্বেতার প্রেমিক হয়; তারপর শ্বেতার স্বামী হয়।”
২০১৬ সালে শ্বেতা-অভিনবর ঘর আলো করে আসে পুত্র রেয়ানশ। ২০১৯ সালে স্বামী অভিনব কোহলির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন শ্বেতা। একই বছরে দ্বিতীয় সংসারের ইতি টানেন এই অভিনেত্রী। মামলা হওয়ার পর অভিনব রাজার কাছে গিয়েছিলেন।
এ বিষয়ে রাজা চৌধুরী বলেন, “আমার সঙ্গে দেখা করে কেঁদেছিল অভিনব। আমার কাছে এসে অভিনব বলেছিল, ‘আপনি বলুন, এখন আমার কী করা উচিত? ডিভোর্স নিয়ে আপনার সঙ্গে যখন মামলা চলছিল, তখন আমি তার (শ্বেতা) সঙ্গে ছিলাম। সেই অভিশাপ এখন আমার উপরে এসেছে।”
তথ্যসূত্র: পিঙ্কভিলা
ঢাকা/শান্ত