ঢাকা     মঙ্গলবার   ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ২৪ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

‘দ্য কেরালা স্টোরি কেরালাবাসীর জন্য চূড়ান্ত অবমাননাকর’

বিনোদন ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৪৬, ২ আগস্ট ২০২৫   আপডেট: ১২:৫৫, ২ আগস্ট ২০২৫
‘দ্য কেরালা স্টোরি কেরালাবাসীর জন্য চূড়ান্ত অবমাননাকর’

দ্য কেরালা স্টোরি-সিনেমার পোস্টার

‘দ্য কেরালা স্টোরি’ খ্যাত পরিচালক সুদীপ্ত সেনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনরাই বিজয়ন। ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ ৭১তম জাতীয় পুরস্কারে সেরা পরিচালকের স্বীকৃতি পেয়েছেন সুদীপ্ত সেন। এই খবর প্রকাশ্যে আসার পরেই চটেছেন পিনরাই বিজয়ন। 

ভারতীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে পিনরাই বিজয়ন বলেছেন, ‘‘দ্য কেরালা স্টোরি’ সিনেমার সাফল্য কেরালাবাসীর জন্য ‘চূড়ান্ত অবমাননাকর। এই ধরনের সিনেমাকে হাতিয়ার করে সঙ্ঘ পরিবার ধর্মীয় মেরুকরণের রাজনীতি ছড়ানোর চেষ্টা করে।’’

আরো পড়ুন:

২০২৩ সালে মুক্তি পাওয়া এই সিনেমার বিরুদ্ধে ধর্মান্তরণ থেকে সন্ত্রাসবাদ-সহ নানা সমালোচনা তৈরি হয়। 

পিনরাই বিজয়ন এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘‘জুরি এই ধরনের সিনেমাকে পুরস্কৃত করে কেরালার ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছে এবং সাম্প্রদায়িক শান্তি ভঙ্গ করার চেষ্টা করছে। এই স্বীকৃতি শুধুমাত্র মালয়লিদের অপমান নয়, দেশের সম্প্রীতির প্রতি আস্থা ভুলিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র। এমন সিনেমাকে যারা পুরস্কৃত করেছেন, তারা নিশ্চিত ভাবে সঙ্ঘ পরিবারকে খুশি করতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’’

সিনেমাটির মূল চিত্রনাট্য সাজানো হয়েছে যে বিষয়টিকে কেন্দ্র করে, তা নিঃসন্দেহে বিতর্কিত। এই সিনেমাতে হিন্দু নারীদের ওপর ইসলাম আগ্রাসনের কাহিনি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এক কথায় সিনেমার ভাবনা ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতা ঘিরে। আর সেজন্যই মুক্তির পর থেকেই ভারতজুড়ে বিতর্ক শুরু হয়। সিনেমার কেন্দ্রীয় চরিত্রের নাম শালিনী উন্নিকৃষ্ণণ। হিন্দু এই তরুণী এক সময় ফাতিমা হয়ে ওঠেন। অর্থাৎ, তার ধর্ম পরিবর্তন করা হয়েছে। 

পরিকল্পনামাফিক ‘ফাঁদ’ পেতে শালিনীকে ফাতিমা করে তোলার কাহিনি দেখিয়েছেন পরিচালক সুদীপ্ত। পরিচালক দেখিয়েছিলেন, শুধু হিন্দু নয়, কেরালায় এই ধর্মান্তরণের ‘ফাঁদে’ পা দিয়ে সর্বনাশ ডেকে এনেছেন অনেক খ্রিস্টান নারীরাও। 

এই সিনেমার ট্রেলারে দাবি করা হয়েছে, কেরালা থেকে ৩২ হাজার নারী ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্মান্তরিত হতে বাধ্য হয়েছেন।

উল্লেখ্য, দ্য কেরালা স্টোরি সিনেমাটি মুক্তির পরপরই পশ্চিমবঙ্গের সিনেমা (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ১৯৫৪-র ৬(১) ধারা অনুযায়ী সিনেমাটি নিষিদ্ধ হয় রাজ্যে। যুক্তি দেখানো হয়েছিলো, ‘‘সিনেমাটি প্রদর্শিত হলে, তা ‘শান্তিভঙ্গের কারণ হতে পারে’ এবং ‘রাজ্যের শান্তি ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখার জন্য এবং হিংসা ও অশান্তির ঘটনা এড়াতে’ এটি দরকার ছিল।’’

ঢাকা/লিপি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়