ঢাকা     শনিবার   ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৫ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

একজন কর্মী নিয়ে শুরু করে সাদিয়া চৌধুরী এখন কারখানার মালিক

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:১২, ২ জুন ২০২২  
একজন কর্মী নিয়ে শুরু করে সাদিয়া চৌধুরী এখন কারখানার মালিক

সাদিয়া চৌধুরীর শুরু একজন কর্মী নিয়ে নিজবাড়ি থেকে। এখন তিনি ক্ষুদ্র শিল্প উদ্যোক্তা। রয়েছে নিজের কারখানা। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে তৈরি করেছেন শতাধিক মানুষের কর্মসংস্থান। এখন চট্টগ্রাম নগরীতে সাদিয়া চৌধুরী বুটিক শিল্পের সফল উদ্যোক্তা হিসেবেই পরিচিত। 

জমকালো বিয়ের আয়োজনে সাদিয়ার ডিজাইন করা গাউনের চাহিদা রয়েছে। তার পোশাকের চাহিদা রয়েছে দেশের বাইরেও। সাদিয়া’স এম্ব্রয়ডারি কালেকশন গড়ে তুলেছেন তিনি। এই কারখানার ৫০ হাজার পিস পর্যন্ত পোশাকের অর্ডার গ্রহণ ও সরবরাহ করার সক্ষমতা রয়েছে। 

পুরো নাম ইসরাত সাদিয়া চৌধুরী। পড়েছেন ইংরেজি মাধ্যমে। শিল্পপতির কন্যা হলেও সাদিয়া চেয়েছেন নিজের পথে হাঁটতে। নিজেই নিজের ব্র্যান্ড তৈরি করবেন এমন ভাবনা ছিল মনে। তাই সুযোগ থাকলেও বড় চাকরি কিংবা বাবার ব্যবসায় নাম লেখাননি। রাইজিংবিডিকে সাদিয়া চৌধুরী জানান, তার শুরু ২০১৪ সাল থেকে। পরের বছর গড়ে তোলেন সাদিয়া’স এম্ব্রয়ডারি কালেকশন নামে ফেসবুক বিজনেস পেজ। সময় গড়িয়েছে ৭ বছর। মেধা ও পরিশ্রমের সুফল হিসেবে পেয়েছেন সাফল্য। চট্টগ্রামে ব্রাইডাল পোশাকের জন্য সাদিয়া চৌধুরীর আলাদা পরিচিতি রয়েছে। তার প্রতিটি ব্রাইডাল ড্রেসের দাম এক লাখ থেকে আড়াই লাখ টাকা পর্যন্ত।  

সাদিয়া চৌধুরী বলেন, ‘এখন আমার ডিজাইন করা তৈরি পোশাক বিক্রি হয় অস্ট্রেলিয়ার বড় বড় শপিং মলে। পোশাক যাচ্ছে জাপান, ইউএসএ, মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে। ইপিজেডে কারখানা রয়েছে। সেখানেই দক্ষ কারিগরের হাতে তৈরি হয় অনবদ্য ডিজাইনের সব পোশাক।’

ব্রিটিশ কাউন্সিলে এসিসিএ করার সময় পোশাক ডিজাইন এবং বুটিকসের ব্যবসার বিষয়টি তার মাথায় আসে। সাদিয়া চৌধুরী বলেন, ‘২০১৪ সালের শুরুর দিকে একজন কর্মী নিয়ে কাজ শুরু করি। এ সময় ছোটখাটো অর্ডার পেলেও বাণিজ্যিকভাবে ততোটা সাড়া ছিল না। ২০১৫ সালে ফেসবুকে ‘সাদিয়া’স এম্ব্রয়ডারি কালেকশন’ নামে পেইজ খোলার কয়েক মাসের মধ্যেই অর্ডার আসতে শুরু করে।’ 

চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় চট্টগ্রাম ইপিজেডে একটি ফ্লোর নিয়ে কারখানা চালু করেন সাদিয়া। তিনি জানান, গার্মেন্টস-এর অর্ডারের ক্ষেত্রে ৫০ হাজার পিস পর্যন্ত পোশাকের অর্ডার নেন তিনি। ব্রাইডাল ড্রেস তৈরির ক্ষেত্রে প্রতিমাসে ১টির বেশি অর্ডার নেন না। এ ধরনের প্রতিটি পোশাকের দাম হয় সর্বনিম্ন ৪০ হাজার টাকা থেকে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত।’

সাদিয়া বলেন, ‘সাফল্যের জন্য পরিশ্রম আর অধ্যাবসায় প্রয়োজন। আমি যখন ব্যবসা শুরু করি তখন প্রথম তিন মাস লোকসান দিয়েছি। লাভ না হওয়ায় পুঁজি থেকে কর্মীদের বেতন দিয়েছি। কিন্তু আমি হতাশ হইনি। আমি জানি পরিশ্রম করলে সাফল্য আসবেই। আমার অদম্য ইচ্ছা  আর বাবা মায়ের অনুপ্রেরণায় আমি এখন পুরোপুরি নিজের একটা পরিচয় তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি।’

রেজাউল করিম/তারা

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়