ঢাকা     সোমবার   ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ৩০ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

না খেয়ে ৩৮২ দিন

মুজাহিদ বিল্লাহ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৪৮, ২৩ নভেম্বর ২০২৩  
না খেয়ে ৩৮২ দিন

ওজন কমানোর জন্য মানুষ না খেয়ে আর কদিনই-বা বাঁচতে পারে। এভাবে কত কেজি ওজন কমানো সম্ভব? অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, ৩৮২ দিন না খেয়ে ১২৫ কেজি ওজন কমিয়েছিলেন স্কটল্যান্ডের অধিবাসী আঙ্গাস বারবিয়েরি।

আজ থেকে প্রায় ৫ দশক আগের কথা। ১৯৬৬ সালের ১২ জুলাই ‘শিকাগো ট্রিবিউন’ প্রকাশ করে এ সংবাদ। সংবাদের সঙ্গে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, ২৭-২৮ বছরের একজন যুবক পাউরুটি, মাখন, ডিম এবং চা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। হাসপাতালে তোলা ছবিটির পাশেই দাঁড়িয়ে আছেন একজন ডাক্তার। আট-দশটা ছবির মতোই সাধারণ সেই ছবি সেদিন হয়ে ওঠে অসাধারণ। প্রকাশিত সংবাদে জানা যায়, ৩৮২ দিন পর আঙ্গাস নামের ওই ব্যক্তি শক্ত খাবার খাচ্ছেন। 

নিজের অতিরিক্ত ওজন কমাতে টেপোর্টের ম্যারিফিল্ড হাসপাতালে পরামর্শ নিতে আসেন আঙ্গাস। তখন তার ওজন ছিল ২১৪ কেজি। অতিরিক্ত স্থুলতা তার শারীরিক এবং মানসিক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। সমাজের নানা জনের কাছ থেকে কটু কথাও শুনতে হচ্ছিল তাকে। বাসায় বসে ভুল ডায়েট করতে চাননি তিনি। যে কারণে  হাসপাতালে এসে চিকিৎসকদের শরণাপন্ন হন। 

ওজন কমানোর জন্য রীতিমতো পাগলামি শুরু করেন আঙ্গাস। ডাক্তাররা তাকে সাধারণ ডায়েট করার পরামর্শ দিলেও তিনি শুরু করেন সিরিয়াস ডায়েট। খাবারের তালিকা থেকে একেবারেই বাদ দেন মাছ, মাংস, সবজি, ভাত, রুটিসহ সব ধরনের খাবার। তিনি শুধু চা এবং কফি পান করতেন। মাঝেমধ্যে ডাক্তারের পরামর্শে তাতে দুধ এবং চিনি যোগ করতেন। হাসপাতালে এভাবে ৩৮২ দিন কাটার পর আঙ্গাসের ওজন দাঁড়ায় ১২৫ কেজি। 

আঙ্গাসের এ ধরনের ডায়েট ডাক্তাররা নিষেধ করতেন। কারণ এর আগে এ ধরনের হার্ড ডায়েট করে প্রাণ হারিয়েছেন পাঁচজন রোগী। আঙ্গাস ভাগ্যবান তার শারীরিক সমস্যা হয়নি। ১৯৯০ সাল পর্যন্ত সাধারণ মানুষের মতোই বেঁচে ছিলেন তিনি। কিন্তু হাসপাতালে দীর্ঘদিন থাকার কারণে চাকরি হারান আঙ্গাস। এরপর মাছের ব্যবসা শুরু করেন তিনি। কিন্তু কফি এবং চা ছাড়া কোনো খাবারই তার ভালো লাগতো না। কারণ ডায়েটের ফলে বেশিরভাগ খাবারেরই স্বাদ ভুলে গিয়েছিলেন তিনি। 

তারা//

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়