ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

‘ফেরারির কারণে বিয়ে-চাকরি হয়নি’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৫০, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২১   আপডেট: ১৬:৫১, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
‘ফেরারির কারণে বিয়ে-চাকরি হয়নি’

আবুল কালাম আজাদ। ছবি: র‌্যাব

আবুল কালাম আজাদ। হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি। এই সাজা নিয়ে ২৯ বছর  ছিলেন ফেরারি। এ কারণে বিয়ে কিংবা চাকরিও করতে পারেনি। অবশেষে তাকে মিরপুরের পাইকপাড়া থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৪।

সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কারওয়ান বাজার র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে অতিরিক্ত ডিআইজি গাজী মোজাম্মেল হক এ তথ্য জানান।

গাজী মোজাম্মেল হক বলেন, রোববার (৫ সেপ্টেম্বর)  ভোরে মিরপুর মডেল থানার পাইকপাড়া আহম্মেদ নগর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি আবুল কালামকে গ্রেপ্তার করা হয়।  আজাদ মা-বাবার একমাত্র সন্তান, মাদ্রাসা শিক্ষায় শিক্ষিত।  ১৯৮৭ সালে দাখিল, ১৯৮৯ সালে আলিম, ১৯৯১ ফাজিল পাস করে।  শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও মামলার কারণে এবং পালিয়ে পালিয়ে থাকায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় চাকরি করতে পারেনি।

র‌্যাবের সংবাদ সম্মেলন

তিনি বলেন, ২০০৭ সালে  পার্শ্ববর্তী বদরগঞ্জ থানার বাতাসন গ্রামে সাবানা (১৯) নামে একটি মেয়েকে বিয়ে করে।  তবে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় পালিয়ে থাকার কারণে স্ত্রীকে সময় দিতে না পারায় বিয়ের ৫/৬ মাস পরই  স্ত্রী তাকে তালাক দিয়ে চলে যায়। ২০০১ সালে ঢাকায় চলে আসে।  এখানে আত্মগোপনে থেকে বিভিন্ন কনস্ট্রাকশন বিল্ডিং এ নির্মাণ শ্রমিক হিসাবে কাজ করে আসছিল। নতুন নাম ধারণ করে আজাদ মিয়া।

র‌্যাব-৪ এর অধিনায়ক আরও বলেন, ১৯৯২ সালে রংপুর জেলার চাঞ্চল্যকর ইব্রাহিম হত্যা সংঘটিত হয়। মামলার তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদসহ এজহারনামীয় ৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে।

আদালত মামলার বিচারকার্য পরিচালনা শেষে চার্জশিটে অভিযুক্ত ৩ জনকে যাবজ্জীবন সাজা প্রদান করেন। রায় ঘোষণার সময়, যাবজ্জীবন সাজা দেন। জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটে বলে তদন্তে বেরিয়ে আসে।

/মাকসুদ/এসবি

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়