এলাকার সর্বোচ্চ উন্নয়ন করেছি: আদালতকে জ্যাকব
এমপি থাকাকালে এলাকার সর্বোচ্চ উন্নয়ন করেছেন বলে আদালতকে জানিয়েছেন ভোলা-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাবেয়া বেগমের আদালতে প্রায় এক যুগ আগে সাভারে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) নাজিম উদ্দিন আলমকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার মামলায় রিমান্ড শুনানিতে তিনি একথা বলেন।
এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাভার মডেল থানার সাব-ইন্সপেক্টর জহুরুল ইসলাম তার সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করে।
বিএনপিপন্থী আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকীও রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। তিনি বলেন, কয়েকবার ভোট চুরি, ভোট হরণ, কেন্দ্র দখল করে নিজেকে এমপি ঘোষণা করেন। এলাকায় ক্রাইমের রাজত্ব কায়েম করেন। ভিন্ন দলের কাউকে রাজনীতি করার সুযোগ দিতেন না। ঢাকায়ও আসতেন। বিরোধীদের পথসভা, মিছিল, মিটিংয়ে হামলা চালাতেন। ফ্যাসিস্ট হাসিনার সহযোগী। বিএনপির সাবেক এমপি নাজিম উদ্দিনের ওপর হামলা করে। তাকে হত্যাচেষ্টা করে। তার রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করছি।
আসামিপক্ষের আইনজীবী বলেন, বাদী এবং আসামির বাড়ি একই আসনে। একই সংসদীয় আসনের হওয়ায় হিংসার বশবর্তী হয়ে এক জনের ক্রোধ আরেকজনের ওপর মিটাতে মামলা দিয়েছেন। তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। অংশগ্রহণ করেননি এবং তার সম্পৃক্ততা নেই। রিমান্ডে নেওয়ার যৌক্তিকতা নেই। রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করছি। যে কোনো শর্তে জামিন চাই।
পরে ওমর ফারুক বলেন, আসামি কী ধরনের লোক। আজ বৈরী পরিবেশেরও তার লোকজন আদালতে এসে স্লোগান দেয়। আর তখন ক্ষমতায় ছিলো। তখন কী করেছে।
পরে আদালত জ্যাকবের বক্তব্য শুনতে চান। জ্যাকব বলেন, ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে নির্বাচন করে ভোলা-৪ আসন থেকে এমপি হই। আমি রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। আমার বাবা একাধিকবার এমপি নির্বাচিত হন। বাবার আদর্শ ধারণ করে রাজনীতি করি। এমপি থাকাকালে এলাকার সর্বোচ্চ উন্নয়ন করেছি। আমি কখনো ঢাকায় মিছিল মিটিং করিনি। মনোনয়ন সংগ্রহ করতে গিয়েও মিছিল মিটিং করিনি। এই আন্দোলনের সময় আমার নির্বাচিত এলাকায় কোনো ধরনের সংঘর্ষ, সহিংসতা হয়নি। এলাকা শান্ত ছিলো।
পরে আদালত তার ৫ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে গুলশান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর সকালে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। তাকে সিজেএম আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। সকাল থেকে এলাকার নেতাকর্মীরা আদালতে এসে হাজির হন। দুপুরে রিমান্ড শুনানিকালে এজলাসে তোলা হয়। এ সময় নেতাকর্মীরা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। তার মুক্তির দাবি জানান। আদালতের সামনে এসেও স্লোগান দিত থাকে। তখন পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
জ্যাকবের নেতাকর্মীরা স্লোগান দেওয়ায় পুলিশের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিএনপির আইনজীবীরা। তারা বিষয়টি আদালতকেও জানান।
ঢাকা/মামুন/এনএইচ