সুব্রত বাইন ও মোল্লা মাসুদসহ গ্রেপ্তার ৪
‘শীর্ষ সন্ত্রাসীদের’ কাছে মিলল অস্ত্র, গুলি ও স্যাটেলাইট ফোন
ছবি: সংগৃহীত
কুষ্টিয়া থেকে ঢাকার অপরাধজগতের ত্রাস, শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন, মোল্লা মাসুদসহ চার সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনী। বাকি দুজন হলেন বাইনের সহযোগী শুটার আরাফাত ও শরীফ।
মঙ্গলবার (২৭ মে) সকালে শহরের কালিশংকরপুর এলাকায় তিন ঘণ্টার এক শ্বাসরুদ্ধকর অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ৫টি বিদেশি পিস্তল, ১০টি ম্যাগাজিন, ১টি স্যালাইট ফোন উদ্ধার করা হয়।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সামি-উদ-দৌলা চৌধুরী বিষয়টি জানিয়েছেন।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সামি-উদ-দৌলা চৌধুরী
তিনি জানান, ভোর ৫টা ১৫ মিনিটে কুষ্টিয়া সদরের সোনার বাংলা রোডের একটি বাড়ি থেকে সুব্রত বাইন ও মোল্লা মাসুদকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সকাল ৭টায় হাতিরঝিল এলাকায় একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে শুটার আরাফাত ও চালক শরীফকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই দুজনের কাছে থেকে ৫টি বিদেশি পিস্তল, ১০টি ম্যাগাজিন, ১টি স্যাটেলাইট ফোন উদ্ধার করা হয়।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল সামি-উদ-দৌলা চৌধুরী তিনি বলেন, “দেশের ভেতর আইনশৃঙ্খলা বিঘ্ন ও অস্থিশীল করার জন্য তারা সন্তাসী কমকাণ্ড পরিচালনা করে আসছিল। সেনাবাহিনীর একাধিক ইউনিট গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআইয়ের সহযোগিতায় দুই শীর্ষ সন্ত্রাসীসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।”
তিনি আরো বলেন, “এই চক্রটি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে হত্যা, চাঁদাবাজি ও নাশকতা চালিয়ে আসছিল। উল্লেখযোগ্যভাবে, সুব্রত বাইন এবং মোল্লা মাসুদ হল ‘তালিকাভুক্ত ২৩ জন শীর্ষ সন্ত্রাসী' দলের অন্যতম নেতা এবং ‘সেভেন স্টার' চক্রের মূল পরিকল্পনাকারী। এই অভিযান ছিল দীর্ঘদিনের গোয়েন্দা তৎপরতা ও পরিকল্পনার ফসল। অপারেশনটি অত্যন্ত সুনিপুণভাবে, ক্ষয়ক্ষতি বা সংঘর্ষ ছাড়াই পরিচালিত হয়-যা আমাদের বাহিনীর পেশাদারিত্ব এবং রাষ্ট্রের প্রতি দায়বদ্ধতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।”
ঢাকা/এমআর/এসবি