ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

সাংবাদিকদের আপসহীন লেখা রাষ্ট্রকে পথ দেখায়: মেয়র খায়রুজ্জামান

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:৪১, ২১ ডিসেম্বর ২০২২   আপডেট: ০৮:৪৩, ২১ ডিসেম্বর ২০২২
সাংবাদিকদের আপসহীন লেখা রাষ্ট্রকে পথ দেখায়: মেয়র খায়রুজ্জামান

ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিলের লেখক সম্মাননা অনুষ্ঠান

আধুনিক বিশ্বে লেখক-সাংবাদিকেরা রাষ্ট্রকে সঠিক পথ-নির্দেশনা দিতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান।

তিনি বলেন, সাংবাদিকদের আপসহীন লেখা ও সংবাদ সমাজ ও রাষ্ট্রকে পথ দেখায়।

মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিল (ডিএসইসি) আয়োজিত লেখক সম্মাননা অনুষ্ঠান-২০২২-এ খায়রুজ্জামান এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ৫০ জন লেখককে বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয়। প্রত্যেককে নগদ ৫ হাজার টাকা, ক্রেস্ট, সনদ ও বিভিন্ন পুরস্কারসহ উত্তরীয় পরিয়ে দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে রাজশাহী সিটি মেয়র বলেন, ‘সংবাদপত্রের মাধ্যমে আমরা সব জানতে পারি-কোথায় কী হলো, কী হচ্ছে কিংবা কী হওয়া উচিত। অনেক সময় এমন শুনি, সাংবাদিকদের বলা হয়- আপনি এটি লিখবেন, ওটা লিখবেন না।। হুকুম দেওয়া হয়-এটি বলা যাবে, এটি বলা যাবে না। কিন্তু আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকবান্ধব। বিদেশ থেকে এলেই তিনি সংবাদ সম্মেলন করেন। সাংবাদিকদের সঙ্গে বসে কথা বলেন।’

তিনি বলেন, ‘রাজনীতি করার কারণে আমরা আওয়াজ তুলতে পারি না। অকপটে আমি স্বীকার করি। সেই আওয়াজ আপনারা তুলবেন-এই আশা আমি করি। আমরা জানি, আপনাদের অনেক চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করতে হয়। এরপরও আপনাদের আপসহীন লেখা ও সংবাদ সমাজ ও রাষ্ট্রকে পথ দেখায়।’

অনুষ্ঠানে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক মিনার মনসুর বলেন, ‘যারা সাংবাদিকতা করতে আসেন, তারা মনে করেন, তারা সাংবাদিক হয়ে সমাজ-দেশের জন্য কাজ করবেন। শোষিত-নিপীড়িতদের কণ্ঠস্বর হবেন। আসলে কি তাদের স্বাধীনতা আছে? পরাধীনতার বেদনা তাদের আছে।’

কথাসাহিত্যিক হাসান অরিন্দম বলেন, ‘সাংবাদিকতা পেশার প্রতি আলাদা ভালোবাসা আছে আমার। আমি বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের শিক্ষার্থী ছিলাম। সাংবাদিক হতে চেয়েছিলাম। সৌভাগ্য কিংবা দুর্ভাগ্যবশত ব্যাটে-বলে মেলেনি। তবে সাংবাদিকদের প্রতি মানুষের যেমন ভালোবাসা-বিশ্বাস আছে, আমরা সেটা আছে।’

লেখক সম্মাননা অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ডিএসইসি সভাপতি মামুন ফরাজী। সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসান হৃদয় ও কোষাধ্যক্ষ কবীর আলমগীর। 

অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমীন, সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিলের সাবেক সভাপতি শাহ মোহাম্মদ মোতাসিম বিল্লাহ, কে এম শহীদুল হক প্রমুখ।

বিশেষ সম্মাননা প্রাপ্তরা হলেন-
কবিতা: অতনু তিয়াস, আলমগীর নিষাদ, সুরাইয়া ইসলাম, পুলক হাসান, মহসিন হোসাইন, চৌধুরি ফেরদৌস, আব্দুর রহমান মল্লিক, মু আ কুদ্দুস, দীপক ভৌমিক, দীপংকর দীপক, তুহিন তৌহিদ, জিয়া হক, নাদিম নিশাত, জোবায়ের আহমেদ নবীন, বিউটি হাসু, মোহাম্মদ আলম, সাজু আহমেদ, নূরে আলম জীবন, আ ফ ম মশিউর রহমান ও নাসরিন গীতি।

গল্প/উপন্যাসে: শান্তনু চৌধুরী, লাবণ্য লিপি, কামাল হোসেন টিপু, ইমন চৌধুরি, রনি রেজা, মফিদা আকবর, আশরাফুল ইসলাম, আরিফ মজুমদার, জামাল উদ্দিন জামাল, সাখাওয়াত হোসেন, মুহাম্মদ আসাদুল্লাহ, অশোকেশ রায়, শতাব্দী আলম, রণজিৎ সরকার, জিয়াউদ্দিন খোকা, সাবিরা ইসলাম, তাসনিম সুলতানা, আবুল হোসেন খোকন, রেজাউল রহমান রিজভী, নীলা মল্লিক, তানভীর আলাদীন, হোসেন শহীদ মজনু, শান্তা ফারজানা, ইব্রাহিম খলিল জুয়েল, শামীম ফেরদৌস, শফিক হাসান, সালাহ উদ্দিন মাহমুদ, মাহমুদুল হক জাহাঙ্গীর, সাইফ বরকতুল্লাহ ও মাহতাব শফি।

ইতিহাস গবেষণায়: মোহাম্মদ নূরুল হক, দীপংকর গৌতম, কাজী আলিম-উজ-জামান, অঞ্জন আচার্য, মুস্তফা মনওয়ার সুজন, কায়কোবাদ মিলন, লিয়াকত আলী, শরীফ আবদুল গোফরান, জাকির আবু জাফর, রীতা ভৌমিক, শাহ মুহাম্মদ মুতাসিম বিল্লাহ, আহমাদ মতিউর রহমান, ইমরান মাহফুজ, আনিসুর রহমান এরশাদ, জহির উদ্দিন বাবর, আল মামুন, রনি আধিকারী, ফিরোজ এহতেশাম, সানজিদা সুলতানা, কাওসার বকুল ও মোহাম্মদ আবদুল অদুদ।

শিশুসাহিত্যে: অদ্বৈত মারুত, আশিক মুস্তাফা, মনসুর হেলাল, মামুন রশীদ, আবিদ আজম, নাসির হেলাল, শেখ আব্দুল্লাহ নূর, মাসউদুল কাদির, ইমরুল ইউসুফ, আজরা পারভীন সাঈদ, সাইফুদ্দীন ও ফারহানা তানিয়া 

অনুবাদ: প্রমিত হোসেন, সাহাদত হোসেন খান, মাহফুজুর রহমান মানিক ও মলয় পাঁড়ে।

ভ্রমণ/বিজ্ঞান: জাহাঙ্গীর সুর, আসিফ, সুমন ইসলাম, নাজমুল হক ইমন, শর্মিলা সিন্ড্রেলা, এখলাছ হক, কাজী রফিক ও কে এম শহীদুল হক।

/সাইফ/

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়