ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

পেট্রোল পাম্প ও ট‌্যাংক লরি মালিকদের সঙ্গে সরকারের সমঝোতা

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৪০, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
পেট্রোল পাম্প ও ট‌্যাংক লরি মালিকদের সঙ্গে সরকারের সমঝোতা

জ্বালানী তেল সরবরাহ নির্বিঘ্ন রাখতে পেট্রোল পাম্প ও ট‌্যাংক লরির মালিক ও শ্রমিক এবং পরিবেশকদের মধ‌্যে সরকারের সমঝোতা হতে যাচ্ছে।

তেল বিক্রিতে কমিশন বৃদ্ধি ও ট‌্যাংক লরির ভাড়া বৃদ্ধির প্রজ্ঞাপন জারি হবে শিগগিরই, অন‌্যান‌্য দাবিগুলোও বিবেচনার আশ্বাসও দেয়া হয়েছে। তবে সরকারের তরফ থেকে যে কোন দাবি পুরণে ধর্মঘটের মতো জনদুর্ভোগের পথে না গিয়ে আলোচনার মাধ‌্যমে সমাধানের তাগিদ দেয়া হয়েছে।

রোববার বিদ্যুৎ ভবনে বাংলাদেশ ট্যাংক লরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ জ্বালানী তেল পরিবেশক সমিতি, খুলনা এবং বাংলাদেশ পেট্রোলপাম্প ও ট্যাংক লরি মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নেতাদের সঙ্গে বসে বিদ‌্যুৎ ও জ্বালানী প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তারা।

আলোচনায় সিদ্ধান্ত হয়, সব অংশীজনদের সাথে নিয়ে বিপিসি ও মন্ত্রণালয় একটি ছোট কমিটি গঠন করবে। যেসব বিভাগে দাবি দাওয়া আছে, তাদেরও কমিটিতে রাখা হবে। কমিটি আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছাবে। এরপরও যদি দাবি উত্থাপনকারীরা দ্বিমত পোষণ করেন, তাহলে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করতে পারবে।

সভায় ‍সিদ্ধান্ত হয়, আলোচনার ভিত্তিতে দাবি দাওয়া পূরণ ও সব সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে দাবি উত্থাপনকারীরা ধর্মঘটের মতো কোনো আন্দোলনে যাবে না।

নসরুল হামিদ বিপু বলেন, ‘আমরা চাই, আলোচনার মাধ্যমে তারা যেন একটি পর্যায়ের মধ্যে আসেন। আরো একটা মাস সময় আছে। আসলে কোনো কিছু হলে ক্ষতিগ্রস্থ হবে আমাদের জনগন। সেদিকে চিন্তা করে আলোচনার ভিত্তিতে আমরা সবকিছু সমাধান করব। ‘

বিপু বলেন, ‘আরেকটা বিষয় হলো আপনারা হরতাল করবেন, জ্বালানী তেল সরবরাহ ও বিক্রি বন্ধ করে দিবেন, ক্ষতি কার হবে? ক্ষতি হবে সাধারণ জনগণের। বদনামটা কিন্তু আপনাদের হবে যে, আপনারা সাধারণ মানুষদের জিম্মি করেছেন। যেখানে মন্ত্রী-সচিব এক্সেস আছে, জনবান্ধব একটি সরকার আছে, সেখানে কেন আপনারা এমন (ধর্মঘট) সিদ্ধান্ত নেবেন?’

বাংলাদেশ ট্যাংক লরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ জ্বালানী তেল পরিবেশক সমিতি, খুলনা তাদের ১৫ দফা দাবি তুলে ধরে।

দাবিগুলো হলো জ্বালানী তেল বিক্রয়ের প্রচলিত কমিশন কমপক্ষে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ করা। জ্বালানী তেল ব্যবসায়ীরা কমিশন এজেন্ট নাকি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, সেটাও সুনির্দিষ্ট করাও তাদের অন‌্যতম দাবি।  সেইসঙ্গে প্রিমিয়াম পরিশোধ সাপেক্ষে ট্যাংক লরি শ্রমিকদের পাঁচ লাখ টাকা দুর্ঘটনা বিমা প্রণয়ন করা, ট্যাংকলরি ভাড়া বৃদ্ধি করা, পেট্রোল পাম্পের জন্য কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের লাইসেন্স গ্রহণ বাতিল পেট্রোল পাম্পের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের লাইসেন্স বাতি করাও দাবি করে আসছে তারা।  এছাড়া সব হাইওয়েতে ট্যাংকলরি চলাচলে পুলিশী হয়রানি বন্ধ, সুনির্দিষ্ট দপ্তর ব্যতিত সরকারি অন্যান্য দাপ্তরির প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ডিলার/এজেন্টদেরকে অন্যান্য হয়রানি বন্ধসহ অন‌্যান‌্য দাবিদাওয়া।

মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, সমিতিগুলোর দাবি প্রায় অভিন্ন। জ্বালানী তেলের কমিশন বাড়ানো এবং ট্যাংক লরির পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধির দাবি অন্যান্য দাবিগুলো বিপিসি এবং জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ বিভাগ বহির্ভূত।

কমিশন বৃদ্ধির বিষয়ে জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ বিভাগ জানিয়েছে, পেট্রোলের কমিশন বৃদ্ধির প্রজ্ঞাপন গেজেট আকারে প্রকাশের জন্য বিজি প্রেসে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ট্যাংকলরি ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়ে জানানো হয়, ৪০ কিলোমিটার যাওয়া-আসার ভাড়া বৃদ্ধির প্রজ্ঞাপন এরিমধ‌্যে জারি করা হয়েছে। ৪০ কিলোমিটারের অধিক দুরত্বে প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ২ দশমিক ২২ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩ দশমিক ২৫ টাকা করার প্রজ্ঞাপন জারির জন্য বিজি প্রেসে পাঠানো হয়েছে।


ঢাকা/নূর/সাজেদ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়