ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

রাজধানীর পানি সরবরাহ ব্যবস্থা উন্নয়নে প্রকল্প গ্রহণ

কেএমএ হাসনাত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৩০, ২৮ অক্টোবর ২০২০   আপডেট: ১১:৫০, ২৮ অক্টোবর ২০২০
রাজধানীর পানি সরবরাহ ব্যবস্থা উন্নয়নে প্রকল্প গ্রহণ

ঢাকার পানি সরবরাহ ব্যবস্থার দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়নের জন্য একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে ঢাকা ওয়াসা। এজন্য ব্যয় হবে ১৬৪ কোটি ৯ লাখ টাকা। যা প্রকল্পের প্রাক্কলিত দরের চেয়ে ১৫.৭১ শতাংশ কম। প্রাক্কলিত দর ছিল ১৯৪ কোটি ৬৬ লাখ ৭১ হাজার টাকা। দরপত্রে সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে জার্মানির একটি প্রতিষ্ঠান প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।

স্থানীয় সরকার বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা ওয়াসা ‘ঢাকা ওয়াটার সাপ্লাই নেটওয়ার্ক ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে ঢাকা শহরের পানি সরবরাহ ব্যবস্থাপনা পুনর্বাসন, সরবরাহ বাড়ানো, শক্তিশালী করা, সিস্টেম লস কমানো, অপারেটিং ও মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করা, পানির গুণগত মান পরীক্ষা এবং মনিটরিং ব্যবস্থার উন্নয়ন নিশ্চিত করা হবে। এছাড়া প্রকল্পের মাধ্যমে ঢাকা ওয়াসার প্রাতিষ্ঠানিক, প্রশাসনিক ও ব্যবস্থাপনা কাঠামো শক্তিশালী করাসহ এর আর্থিক ও পরিচালনা ব্যবস্থার উন্নয়ন করা হবে।

সূত্র জানায়, জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) এর ২০১৬ সালের ২৪ মে অনুষ্ঠিত সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়। বাংলাদেশ সরকার ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিপি) এর মধ্যে একই বছর ১৭ জুলাই ঋণ চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তীতে স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে প্রশাসনিক অনুমোদন দেওয়া হয়। এর ধারাবাহিকতায় ২০১৬ সালের ১৮ অক্টোবর অর্থ বিভাগ ও ঢাকা ওয়াসার মধ্যে প্রকল্পের সাবসিডিয়ারি ঋণচুক্তি হয়।

সূত্র জানায়, প্রকল্পের একটি প্যাকেজের আওতায় ১৯২ কিলোমিটার পানির লাইন পুনর্বাসন, বর্ধিতকরণ ও শক্তিশালী করতে মোট ১৮২ কোটি ১৫ লাখ টাকার সংস্থান রয়েছে। প্রকল্পের কন্ট্রাক্ট নম্বর-আইসিবি-০২.১২ এর আওতায় মডস্ জোন-৭ এলাকার মোট ১৬৩ দশমিক ৯৫ কিলোমিটার পানির লাইন পুনর্বাসন করে ৭টি ডিক্ট্রিক্ট মিটার এরিয়া (ডিএমএ) বাস্তবায়ন করা হবে। এ প্যাকেজের আওতায় ডিএমএ কমিশনিংসহ এক বছর পর্যন্ত নেটওয়ার্ক অপারেশন এবং রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে।

ঋণ চুক্তির শর্ত মোতাবেক এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) প্রকিউরমেন্ট গাইডলাইন অনুযায়ী প্রণীত বিডিং ডকুমেন্টের ওপর গত ২০১৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি তারিখে এডিবির অনাপত্তি দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা ওয়াসার ওয়েব সাইট, সিপিটিইউ’র ওয়েবসাইট বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও এডিবির ওয়েবসাইটে দরপত্র আহ্বান করা হয়। দরপত্রে ৬টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। এর মধ্যে চীনের ৩টি, বাংলাদেশের ২টি এবং জার্মানির ১টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এডিবির অনুমোদিত বিড ডকুমেন্টে বর্ণিত এভ্যালুশন ক্রাইটেরিয়ার আলোকে দাখিল করা দরপত্রগুলোর কারিগরি প্রস্তাব দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি কর্তৃক মূল্যায়ন করা হয়। কারিগরি মূল্যায়নের চীনের সানজি ওয়াটার রিসোর্স অ্যান্ড হাইড্রোপাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ কোম্পানি এবং জার্মানির লুডউইগ পিফার হচ-উন্ড তাইবাও জিএমবিএইচ অ্যান্ড কোম্পানির দরপত্র রেসপন্সিভ হয়।

সূত্র জানায়, এডিবি কারিগরি মূল্যায়ন প্রতিবেদনে অনাপত্তির পর রেসপন্সিভ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সামেন গত ২৪ মার্চ আর্থিক প্রস্তাব উন্মুক্ত করা হয়। মূল্যায়ন কমিটি জার্মানির ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের আর্থিক প্রস্তাবটি রিসপন্সিভ হিসেবে বিবেচনা করে তাদের পক্ষে সুপারিশ করে। প্রতিষ্ঠানটি প্রাক্কলিত দরের চেয়ে ১৫.৭১ শতাংশ কম দরে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের আগ্রহ প্রকাশ করে।


এ বিষয়ে একটি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে বলে সূত্র জানিয়েছে।

হাসনাত/সাইফ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়