‘তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধন প্রয়োজন’

বর্তমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের কিছু সংশোধন ও সংযোজন প্রয়োজন বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। 

বুধবার (২৮ অক্টোবর) তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা এবং এবিষয়ে করণীয় তুলে ধরতে তামাকবিরোধী গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা’র (প্রগতির জন্য জ্ঞান) একটি প্রতিনিধি দল তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। 
 
আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশ যে কাজ অব্যাহত রেখেছে তাতে আমি আশাবাদী। তামাকের মতো বিষাক্ত দ্রব্য গ্রহণ থেকে জনগণকে দূরে রাখা এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-৩  অর্জনে বর্তমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের কিছু সংশোধন ও সংযোজন প্রয়োজন বলে মনে করি। বিশেষ করে করোনা সংকটের এই কঠিন সময়ে জনস্বাস্থ্য, পরিবেশ বিশুদ্ধ রাখার স্বার্থেই তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের সঙ্গে প্রজ্ঞাসহ অন্যান্য সংগঠনের সংশ্লিষ্ট আইনের সংশোধনী প্রস্তাবগুলো দ্রুত বিবেচনা এখন সময়ের দাবি বলে আমি মনে করি।’

মত বিনিময়ের সময় প্রজ্ঞা’র পক্ষ থেকে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের বিষয়গুলো যেমন- গণপরিবহন ও রেস্তোরাঁ শতভাগ ধূমপানমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা; বিক্রয়কেন্দ্রে তামাকজাত দ্রব্য প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা; তামাক কোম্পানির সিএসআর কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা; বিড়ি-সিগারেটের সিঙ্গেল স্টিক বা খুচরা শলাকা এবং প্যাকেটবিহীন জর্দা-গুল বিক্রি নিষিদ্ধ করা; ই-সিগারেটের মতো ইমার্জিং টোব্যাকো প্রোডাক্ট আমদানি ও বিক্রি নিয়ন্ত্রণ বা নিষিদ্ধ করা এবং সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার আকার বৃদ্ধি এবং প্লেইন প্যাকেজিং প্রবর্তনের জন্য সবধরনের তামাকজাত দ্রব্যের প্রমিত মোড়ক প্রচলন করার বিষয়ে আলোচনা করা হয়।