শিক্ষক ও শ্রমিকদের ওপর লাঠিচার্জের অভিযোগ

রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষক ও শ্রমিকদের ওপর পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে পুলিশ এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

সোমবার (০৭ ডিসেম্বর) ভোর ৫টার দিকে ঘুমন্ত শিক্ষক ও শ্রমিকদের ওপর লাঠিচার্জ করা হয় বলে জানান আন্দোলনকারীরা।

স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসাকে জাতীয়করণের দাবিতে ২২ দিন ধরে আন্দোলন করে আসছিল বাংলাদেশ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতি।

ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির দপ্তর সম্পাদক মো. ইমতিয়াজ বিন হাকিম বলেন, ‘ভোরে ঘুমন্ত অবস্থায় পুলিশ আমাদের ওপর লাঠিচার্জ করে। এতে ১০-১৫ জনের মতো শিক্ষক আহত হয়েছেন। মো. রফিকুজ্জামান (৩৫) নামের এক শিক্ষক বেশি আঘাত পেয়েছেন। তিনি ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার গড়সতী স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষক।’

শান্তিপূর্ণভাবে এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হচ্ছিলো জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তারা যদি আগে থেকে বলতো তাহলে আমরা উঠে যেতাম। আমাদের সঙ্গে যা হয়েছে তা দুঃখজনক।’ 

শ্রম আইনের ক্ষতিপূরণের ধারা সংশোধন, আহত শ্রমিকদের সম্মানজনক ক্ষতিপূরণ দেওয়াসহ কয়েকটি দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন তাজরীনে অগ্নিকাণ্ডে আহত বেশ কিছু শ্রমিক। এছাড়া, বকেয়া বেতনের দাবিতে ছয়দিন ধরে সেখানে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন তৈরি পোশাক কারখানা এ ওয়ান বিডি লিমিটেডের শ্রমিকরা।

শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন অর রশিদ রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘আমি যতটুকু জানি, আন্দোলনকারীরা নিজ থেকেই রাতের আধারে প্রেসক্লাব থেকে সরে গেছেন।’

আন্দোলনকারীদের অভিযোগ পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমি কোনো কিছুই জানি না।’

ঘটনাস্থলে দায়িত্বরত শাহবাগ থানার এক পুলিশ কর্মকর্তার কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘লাঠিচার্জের বিষয়ে আমরা কিছুই জানি না। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে আমরা এখানে দায়িত্ব পালন করছি।’