ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

কলকাতার পরিবর্তে বাংলাদেশের বন্দর ব্যবহার করতে আগ্রহী নেপাল

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:২০, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১  
কলকাতার পরিবর্তে বাংলাদেশের বন্দর ব্যবহার করতে আগ্রহী নেপাল

নেপালের রাষ্ট্রদূত ডা. বানশিধর মিশ্র (ফাইল ছবি)

কলকাতা বন্দরের ওপর নির্ভরতা কমাতে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বাংলাদেশের বন্দর ব্যবহার করতে আগ্রহী নেপাল। 

বৃহষ্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মতিঝিলের এফবিসিসিআই’র কার্যালয়ে সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবুর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ডা. বানশিধর মিশ্র এ আগ্রহের কথা জানান।

এসময় তিনি বলেন, সাংস্কৃতিক মিল এবং অসাধারণ কূটনৈতিক সম্পর্ক থাকার পরেও, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে তার প্রতিফলন না থাকাটা দুঃখজনক। জটিল শর্তের কারণে, নেপাল-বাংলাদেশের পণ্যবাণিজ্য ব্যহত হচ্ছে।’

রাষ্ট্রদূত ডা. বানশিধর মিশ্র বলেন, ‘জলবিদ্যুৎ ও পণ্য বাণিজ্যে দুই দেশের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। জলবিদ্যুৎ খাতে ব্রাজিলের পর, নেপাল বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ সম্ভাবনাময় দেশ। এখাতে বাংলাদেশিরা বিনিয়োগে এগিয়ে আসতে পারে।’

এসময়, এফবিসিসিআই’র সিনিয়র সহ-সভাপতি বলেন, ‘বাংলাদেশে চাহিদার চেয়ে বেশি আলু উৎপাদন হয়। তূলনামূলক কম দামে বাংলাদেশ থেকে আলু আমদানি করতে পারে নেপাল।’

বিপুল পরিমাণ নেপালি শিক্ষার্থী বাংলাদেশে চিকিৎসাবিজ্ঞান পড়ছে উল্লেখ করে, দেশটিতে মেডিক‌্যাল কলেজ স্থাপনের সম্ভাবনা সম্পর্কে জানতে চান এফবিসিসিআই’র সিনিয়র সহ-সভাপতি। 

এ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘কাঠমান্ডু ছাড়া অন্য শহরে এ সুযোগ রয়েছে।’ 

এসময় বাংলাদেশিদের নেপাল ভ্রমণে মাল্টিপল ভিসার নানান জটিলতার কথা উল্লেখ করেন দেশটির রাষ্ট্রদূত। বিবিআইএন মোটর ভেহিকেল চুক্তি হলে এসব জটিলতা কমবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। 

আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কলকাতা বন্দর ব্যবহারে নানা জটিলতার কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত জানান, বাংলাদেশের বন্দর ব্যবহার করতে আগ্রহী নেপাল। 

গঙ্গার পানিচুক্তি আলোচনায় নেপালকে রাখার আহ্বান জানিয়ে ডা. বানশিধর মিশ্র বলেন, ‘শুষ্ক মৌসুমে এই নদীর দুই-তৃতীয়াংশ পানি নেপাল থেকে আসে।’

২০১৫-এর ভূমিকম্প এবং সাম্প্রতিক করোনা মহামারিতে বাংলাদেশের সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রদূত ডা. বানশিধর মিশ্র। 

অনুষ্ঠানে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের সম্ভাবনা ও দুর্বলতা যাচাইয়ে গবেষণার তাগিদ দেন এফবিসিসিআই’র সহ-সভাপতি এম এ মোমেন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই’র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহফুজুল হক।

ঢাকা/শিশির/সনি

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ