ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

মোংলা-পাকশি নৌরুটের নাব্যতা উন্নয়নে ব্যয় হবে ৩৬২ কোটি টাকা

কেএমএ হাসনাত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:০৭, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩   আপডেট: ১১:০৮, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
মোংলা-পাকশি নৌরুটের নাব্যতা উন্নয়নে ব্যয় হবে ৩৬২ কোটি টাকা

ফাইল ছবি

মোংলা থেকে চাঁদপুর-মাওয়া-গোয়ালন্দ হয়ে পাকশি পর্যন্ত নৌরুটের নাব্যতা উন্নয়নের উদ্যোগ নিয়েছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। কাজের গুণগত মান নিশ্চিত করতে চারটি লটের সংরক্ষণ ড্রেজিংয়ের কাজটি সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে। এতে আনুমানিক ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৬২ কোটি টাকা।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় ‘অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি’র পরবর্তী সভায় এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হতে পারে।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, প্রকল্পটি সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে ১২৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০১৭ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২৫ সালের ৩০ জুন মেয়াদে বাস্তবায়নের জন্য ২০২১ সালের ৭ ডিসেম্বর তারিখে একনেক সভায় অনুমোদিত হয়।

সূত্র জানায়, প্রকল্পের ডিপিপিতে ডব্লিউ ডি-২ প্যাকেজের আওতায় ১৬০.৩৭ লাখ ঘনমিটার সংরক্ষণ ড্রেজিং করা হবে। ক্রয় পরিকল্পনায় ডেজিংয়ের কাজটি চারটি লটে সরাসরি ক্রয়পদ্ধতিতে এককভাবে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর মাধ্যমে করানোর কথা বলা হয়েছে।

মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, আলোচ্য প্রকল্পটির মূল ডিপিপি অনুযায়ী, ক্যাপিটাল ড্রেজিং ও সংরক্ষণের আওতায় সাড়ে ৩ কোটি ঘনমিটার ড্রেজিং কাজ সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রকল্পের নৌপথটি খুবই স্পর্শকাতর এবং পরিবর্তনশীল মোংলা-ঘষিয়াখালী, পদ্মা/গঙ্গা, মেঘনা, কচাসহ বিভিন্ন নদীর প্রত্যন্ত দুর্গম ও চরাঞ্চল দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সূত্র জানায়, দুর্গম চরাঞ্চল এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রবাহিত পরিবর্তনশীল প্রমত্তা পদ্মা/গঙ্গা নদীর ড্রেজিং কাজে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ইতোমধ্যে বিশেষ অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কর্মকর্তারা হাইড্রোগ্রাফিক জরিপ ও নৌ পরিবহন কাজে পারদর্শী এবং রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভারী ও স্পর্শকাতর মালামাল পরিবহনে নিরাপত্তার বিষয়টিও তারা বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখেন।

সূত্র জানায়, প্রকল্পের ড্রেজিং কাজটি সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর মাধ্যমে বাস্তবায়নের জন্য সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ কর্তৃক নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ অবস্থায় ড্রেজিংয়ের কাজটি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর মাধ্যমে সম্পাদন করা হলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজটি শেষ করা সম্ভব হবে বলে মনে করছে মন্ত্রণালয়।

/হাসনাত/সাইফ/

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়