ঢাকা     রোববার   ০৫ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ২২ ১৪৩১

জার্মানিতে হচ্ছে বাংলাদেশ দূতাবাসের নিজস্ব ভবন 

কেএমএ হাসনাত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:৫৬, ৯ আগস্ট ২০২৩  
জার্মানিতে হচ্ছে বাংলাদেশ দূতাবাসের নিজস্ব ভবন 

জার্মানির বার্লিনে বাংলাদেশের নিজস্ব চ্যান্সারি কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে। এতে ব্যয় হবে ১ কোটি ২৮ লাখ ৯ হাজার ৭৩৩ ইউরো, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৪৫ কোটি ৬৯ লাখ ৭৯ হাজার ৯৭ টাকা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নির্মাণকাজ শুরুর আগেই প্রকল্পের ব্যয় বাড়ছে ৫৫ শতাংশ। টাকার অঙ্কে এর পরিমাণ প্রায় ৬২ কোটি টাকা।

সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে বাস্তবায়িতব্য প্রকল্পটির মোট ব্যয় ধরা হয়েছিল ১০৯ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। এর মধ্যে মূল ডিপিপিতে প্রকল্প ব্যয় প্রাক্কলন করা হয় ৮৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা। বাংলাদেশ চ্যান্সারি কমপ্লেক্স নির্মাণে বার্লিনে স্থানীয়ভাবে দরপত্র আহ্বান করা হলে পাঁচটি দরপত্র জমা পড়ে। এর মধ্যে মনোনীত দরদাতার আর্থিক প্রস্তাব হচ্ছে ১ কোটি ২৮ লাখ ৯ হাজার ৭৩৩ ইউরো, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৪৫ কোটি ৬৯ লাখ ৭৯ হাজার টাকা। সে হিসেবে চ্যান্সারি কমপ্লেক্স নির্মাণে ব্যয় বাড়ছে ৬১ কোটি ৮৯ লাখ ৭৯ হাজার টাকা। জার্মানির বার্লিনে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।

প্রাক্কলিত খরচের চেয়ে বেশি ব্যয়ে প্রকল্পের ঠিকাদার নিয়োগের লক্ষ্যে সম্প্রতি একনেক সভায় প্রকল্পটির প্রথম সংশোধিত প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সংশোধিত প্রস্তাবে প্রকল্প ব্যয় বাড়িয়ে ১৬৯ কোটি ৭১ লাখ ৬৪ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়। প্রকল্প ব্যয় বাড়ার কারণ সম্পর্কে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, ইউরো-টাকা বিনিময় হার বাড়ার কারণে প্রকল্প ব্যয় বাড়ছে।

প্রকল্পের প্রথম সংশোধনী প্রস্তাবে প্রকল্প ব্যয় বাড়ার কারণ হিসেবে কয়েকটি বিষয়কে চিহ্নিত করা হয়। এগুলোর মধ্যে আছে—রেট শিডিউল পরিবর্তন, জার্মানিতে এগারো ধাপ অনুসরণের কারণে নির্মাণকাজে সময় ব্যয়, ভিসা জটিলতায় প্রকল্পের দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির (টিইসি) সদস্যদের যথাসময়ে জার্মানি যেতে না পারা, প্রাথমিক মূল্যায়নের কাজ যথাসময়ে শেষ না হওয়া প্রভৃতি।

মূল প্রকল্পটি বাস্তবায়নের সময়সীমা ধরা হয়েছিল তিন বছর (২০১৮ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত)। পরে ব্যয় বাড়ানো ছাড়াই প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়। সম্প্রতি প্রথম সংশোধনী প্রস্তাবে প্রকল্পের মেয়াদ আরও বাড়িয়ে ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়েছে।

বাংলাদেশ চ্যান্সারি কমপ্লেক্স নির্মাণে বার্লিনে স্থানীয়ভাবে দরপত্র আহ্বান করা হলে পাঁচটি দরপত্র জমা পড়ে। এর মধ্যে অভিজ্ঞতার সনদপত্র জমা না দেওয়ায় দুটি কোম্পানির প্রস্তাব (এসবিজি জিএমবিএইচ ও অলটেরা সলিউশন্স জিএমবিএইচ) শুরুতেই নন-রেসপন্সিভ হিসেবে বিবেচিত হয়। অবশিষ্ট তিনটি কোম্পানি দরপত্র রেসপন্সিভ হয়। পরবর্তী ধাপে কারিগরি মূল্যায়নে প্রকল্পের সমাপ্তি প্রতিবেদন জমা না দেওয়ায় জার্মান ভিত্তিক চীনা প্রতিষ্ঠান সিজেডআইসিসি নন-রেসপন্সিভ হিসেবে বিবেচিত হয়। অবশিষ্ট দুটি প্রতিষ্ঠান (ডিসেন্ট জিএমবিএইচ ও সুইজারল্যান্ডের কোম্পানি ম্যাবকো কনস্ট্রাকশন এসএসএ-ম্যাবটেক্স গ্রুপ) কারিগরিভাবে রেসপন্সিভ হয়। সবশেষে আর্থিক প্রস্তাব বিবেচনায় ম্যাবকো কনস্ট্রাকশনকে মনোনীত করা হয়েছে। অপর কোম্পানি ডিসেন্ট জিএমবিএইচ-এর প্রস্তাবিত চুক্তিমূল্য ছিল ১ কোটি ৬৮ লাখ ৪২ হাজার ৬৭০ ইউরো।

বুধবার অনুষ্ঠেয় সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় বার্লিনে বাংলাদেশ চ্যান্সারি কমপ্লেক্স নির্মাণে বর্ধিত ব্যয়ে ঠিকাদার নিয়োগের প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে।

হাসনাত/রফিক

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়