ঢাকা     রোববার   ০৫ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ২২ ১৪৩১

পায়রা সমুদ্রবন্দরের জন্য কেনা হচ্ছে মোবাইল ক্রেন

কেএমএ হাসনাত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:৫৩, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩   আপডেট: ২১:৫৬, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
পায়রা সমুদ্রবন্দরের জন্য কেনা হচ্ছে মোবাইল ক্রেন

পায়রা সমুদ্রবন্দরের প্রথম টার্মিনালের জন্য মোবাইল হারবার ক্রেইন ক্রয়ের উদ্যোগ নিয়েছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। এতে ব্যয় হবে ১০৯ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড এই ক্রেন সরবরাহ করবে বলে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

সূত্র জানায়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সংস্থা পায়রাবন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘পায়রা সমুদ্রবন্দরের প্রথম টার্মিনাল এবং আনুষঙ্গিক সুবিধাদি নির্মাণ (প্রথম সংশোধিত)’ শীর্ষক প্রকল্পটি ৪৫১৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে বাস্তবায়নের জন্য একনেক সভায় অনুমোদিত হয়। প্রকল্পের মেয়াদকাল ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত।

প্রকল্পের অনুমোদিত ডিপিপিতে ক্রেন স্থাপনের কাজটি উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতি অনুসরণ করে সম্পাদনের জন্য নির্ধারিত থাকলেও পিপিআর ২০০৮ এর বিধি-৮৪ ক (২) অনুযায়ী হোপ এর অনুমোদনক্রমে একধাপ দুই খাম দরপত্র পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। এটি ক্রয় পরিকল্পনায় জিডি-৫ প্যাকেজ এ অন্তর্ভুক্ত, যার বিপরীতে ৮০ কোটি টাকার সংস্থান রয়েছে। এ কাজের প্রাক্কলিত মূল্য ৮০ কোটি টাকা।

সূত্র জানায়, কাজটি সম্পাদনের লক্ষ্যে পিপিআর-২০০৮ অনুসরণে ২০২২ সালের ১৪ জুলাই দরপত্র আহ্বান করা হয়। দরপত্র বিজ্ঞপ্তি স্থানীয় কয়েকটি দৈনিক পত্রিকায় এবং সিপিটিইউ-এর ওয়েবসাইট ও আন্তর্জাতিক মিডিয়া ‘ডিজি মার্কেট’ এ প্রকাশিত হয়। বিজ্ঞাপনে সাড়া দিয়ে ৮টি প্রতিষ্ঠান দরপত্র ক্রয় করে। দরপত্র দাখিলের নির্ধারিত দিনে ৩টি প্রতিষ্ঠান দরপত্র দাখিল করে।

দরপত্র উন্মুকরণ ও মূল্যায়নের লক্ষ্যে পায়রাবন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক দরপত্র উন্মুক্তকরণ কমিটি এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় কর্তৃক দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি (টিইসি) গঠন করা হয়। দরপত্রে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড, ঢাকা,  নানাটং রেইনবো হেভি মেশিনারিজ, চায়না, সানি ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড, হংকং। এর মধ্যে দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি নানাটং রেইনবো হেভি মেশিনারিজ, চায়না এবং সানি ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড, হংকংকে কারিগরিভাবে নন-রেসপন্সিভ ঘোষণা করে। দরপত্রের সব শর্ত পূর্ণ করায় সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেডকে কমিটি টেকনিক্যালি রেসপন্সিভ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা পরবর্তীতে হোপ কর্তৃক অনুমোদিত হয়।

দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সুপারিশে বলা হয়, সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেডের দাখিল করা দর ১০৯ কোটি ৫৩ লাখ ১৮ হাজার ৫৭০ টাকা গ্রহণ করে প্রতিষ্ঠানটির অনুকূলে নোটিফিকেশন অব অ্যাওয়ার্ড জারি করা যেতে পারে।

উল্লেখ্য, মোট উদ্ধৃত দর প্রাক্কলিত দরের চেয়ে ৩৬.৯১ শতাংশ বেশি হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তার ব্যাখ্যায় জানানো হয়েছে, ডিপিপি প্রণয়নের সময় ইউরোর দর ছিল বাংলাদেশি টাকায় ৯৭.৩৫ টাকা যা ২০২৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি তারিখে দাঁড়িয়েছে ১১৭.৯৭ টাকা অর্থাৎ ২১.১৮ টাকা। এছাড়া শিল্পের কাঁচামাল ও জাহাজের ভাড়া বৃদ্ধির কারণে মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। টিইসি মোবাইল হারবার ক্রেনের জরুরি প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে ডিপিপি প্রণয়নকালের প্রাক্কলন অপেক্ষা ৩৬.৯১ শতাংশ বেশি দরে ক্রয় প্রস্তাব গ্রহণের সুপারিশ করেছে।

সূত্র জানায়, সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির পরবর্তী সভায় এ সংক্রান্ত একটি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে। কমিটি প্রস্তাবটিতে অনুমোদন দিলে দরপত্রে সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করা হবে এবং ক্রেন সংগ্রহের পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

/হাসনাত/এসবি/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়