ঢাকা     রোববার   ০৫ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ২২ ১৪৩১

এক কার্গো এলএনজি আমদানিতে ব্যয় ৭৬২ কোটি টাকা

কেএমএ হাসনাত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৫১, ২৪ অক্টোবর ২০২৩  
এক কার্গো এলএনজি আমদানিতে ব্যয় ৭৬২ কোটি টাকা

দেশের জ্বালানি চাহিদা মেটাতে ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) (সংশোধন) আইন-২০২১’-এর আওতায় স্পট মার্কেট থেকে এক কার্গো এলএনজি আমদানি করবে সরকার। প্রতি এমএমবিটিইউ ১৭.৫৫ মার্কিন ডলার হিসেবে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি আমদানিতে ব্যয় হবে ৭৬২ কোটি ৩৬ লাখ ৭৭ হাজার ৮৮০ টাকা।

সূত্র জানায়, দেশের বিদ্যমান ও ক্রমবর্ধমান গ্যাসের চাহিদা পূরণের জন্য কাতারগ্যাস এবং ওমানের ওকিউটির সঙ্গে দুটি দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির মাধ্যমে এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে। স্পট মার্কেটে এলএনজির মূল্য স্বাভাবিক মূল্যের চেয়ে বহুগুণে বৃদ্ধি পাওয়ায় ২০২২ সালের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানি বন্ধ ছিল। চাহিদার তুলনায় গ্যাসের সরবরাহ কম থাকায় বিশেষ করে বিদ্যুৎ উৎপাদন, ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ ও শিল্প খাতে স্বাভাবিক গ্যাস সরবরাহে বিঘ্ন ঘটে।

সূত্র জানায়, গ্যাসের ঘাটতির ফলে শিল্প খাতে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের পক্ষ থেকে গ্যাস সরবরাহ নির্বিঘ্ন করতে এবং গ্যাসের উর্ধ্বমূল্য বিবেচনায় প্রয়োজনে বর্ধিত মূল্যে হলেও গ্যাস সরবরাহের জন্য অনুরোধ করা হয়। এ অবস্থায়, স্পট মার্কেট থেকে উচ্চমূল্যে এলএনজি আমদানির বর্ধিত ব্যয় নির্দিষ্ট শ্রেণির ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে আদায়ের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে গত ১৮ জানুয়ারি এসআরও জারি করে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের মূল্য ১৪ টাকা ঘনমিটার, ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ ও শিল্পে ব্যবহৃত গ্যাসের মূল্য ৩০ টাকা ঘনমিটার এবং বাণিজ্যিক  (হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট ও অন্যান্য) ক্ষেত্রে ব্যবহৃত গ্যাসের মূল্য ৩০.৫০ টাকা ঘনমিটার নির্ধারণ করা হয়, যা গত ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হয়েছে।

সূত্র জানায়, দেশে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের জন্য স্পট মার্কেট থেকে ২০২৩ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৯ কার্গোর অতিরিক্ত ৩ কার্গো এলএনজি ক্রয়ের জন্য বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী (প্রধানমন্ত্রী) নীতিগত অনুমোদন দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, বিদ্যুৎ, শিল্প ও সার কারখানায় গ্যাসের সরবরাহ বৃদ্ধির জন্য ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি ক্রয় করা হচ্ছে।

সূত্র জানায়, স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি ক্রয়ের লক্ষ্যে মাস্টার সেল অ্যান্ড পারচেজ অ্যাগ্রিমেন্ট (এমএসপিএ) প্রস্তুত কওে লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের ভেটিং গ্রহণ করা হয় এবং সে অনুযায়ী এমএসপিএ টি চূড়ান্ত করা হয়। পরবর্তীতে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির নীতিগত অনুমোদনের ভিত্তিতে পেট্রোবাংলা এমএসপিএ অনুস্বাক্ষরকারী ২১টি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চূড়ান্ত এমএসপিএ স্বাক্ষর করে।

সূত্র জানায়, আমদানিতব্য এক কার্গো এলএনজি আমদানির জন্য দরপ্রস্তাব আহ্বান করা হলে মোট ৩টি প্রতিষ্ঠান দরপ্রস্তাব দাখিল করে এবং ৩টিই রেসপন্সিভ হয়। এর মধ্যে ভাইটল এশিয়া প্রাইভেট লিমিটেড, সিঙ্গাপুর প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজির দাম ১৭.৫৫০০ মার্কিন ডলার উল্লেখ করে সর্বনিম্ন দরদাতা হয়। অন্য ২টি প্রতিষ্ঠান এক্সেলারেট এনার্জি এলপি, যুক্তরাষ্ট্র ১৯.৬৩৫০ মার্কিন ডলার উল্লেখ করে দ্বিতীয় এবং পেট্রোচায়না ইন্টারন্যাশনাল (সিঙ্গাপুর) প্রাইভেট লিমিটেড ২০.৬৫০০ মার্কিন ডলার উল্লেখ করে তৃতীয় সর্বনিম্ন দরদাতা হয়।

দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে প্রস্তাব প্রক্রিয়াকরণ কমিটির (পিপিসি) সুপারিশের প্রেক্ষিতে সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান ভাইটল এশিয়া প্রাইভেট লিমিটেড, সিঙ্গাপুর এক কার্গো এলএনজি সরবরাহ করবে। প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজির মূল্য ১৭.৫৫ মার্কিন ডলার হিসেবে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি ক্রয়ে ব্যয় হবে ৭৬২ কোটি ৩৬ লাখ ৭৭ হাজার ৮৮০ টাকা।

/হাসনাত/এসবি/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়