ঢাকা     শুক্রবার   ১৭ মে ২০২৪ ||  জ্যৈষ্ঠ ৩ ১৪৩১

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশের পাশে আছে ইউরোপ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:১৭, ২ মে ২০২৪  
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশের পাশে আছে ইউরোপ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলো বাংলাদেশের পাশে আছে বলে দাবি করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

বৃহস্পতিবার (২ মে) স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ দাবি করেন।

স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগারের লিখিত প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনার পাশাপাশি দেশটির ওপর আন্তর্জাতিক চাপ প্রয়োগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করছে। ক্রমাগত কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ফলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও পশ্চিম ইউরোপের দেশসমূহ জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে তাদের টেকসই, নিরাপদ ও দ্রুত প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকারকে সকল প্রকার মানবিক ও রাজনৈতিক সহায়তা ও সমর্থন অব্যাহত রেখেছে।

একই প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ জানান, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, রাশিয়া, সৌদি আরবসহ আফ্রিকা ও ল্যাটিন আমেরিকার দেশগুলোর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও অন্যান্য দেশে নতুন শ্রমবাজার বৃদ্ধিসহ বাংলাদেশ থেকে দক্ষ ও আধা দক্ষ শ্রমশক্তি রপ্তানিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থার সঙ্গে একযোগে কাজ করছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। প্রধানমন্ত্রীর সঠিক দিকনির্দেশনায় এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরলস প্রচেষ্টায় অনেক দেশের সঙ্গে আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়ন হয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কূটনৈতিক সম্পর্কের পাশাপাশি অর্থনৈতিক সম্পর্ক সুদৃঢ় করতে ল্যাটিন এবং আফ্রিকা অঞ্চলের দেশগুলোতে সাম্প্রতিক সময়ে আমরা বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছি। দক্ষিণ আমেরিকান দেশগুলো যেমন: ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, প্যারাগুয়ে, চিলি, উরুগুয়ের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য খুবই সীমিত পরিমাণে হয়ে থাকে, যেমনটি রয়েছে আফ্রিকার দেশগুলোতেও। অথচ বাণিজ্যসহ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের নানা ক্ষেত্রে এ অঞ্চলগুলো অনেক সম্ভবনাময়। তাই, নিয়মিত অংশীদারদের বাইরেও এখন সম্ভাবনাময় ও অনুদঘাটিত গন্তব্যসমূহের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ব্রাজিল, মেক্সিকো, বতসোয়ানা, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় উচ্চ পর্যায়ের সফর করা হয়েছে। প্রত্যেকটি সফরেই বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সম্ভাবনাময় ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে এবং ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের যোগাযোগের মাধ্যম তৈরি করা গেছে।

এএএম/রফিক

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ