ঢাকা     শুক্রবার   ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ||  মাঘ ২৪ ১৪৩১

প্রস্তাবিত বিধানে ‘গুম-খুনে জড়িতরা’ নির্বাচনে অযোগ্য

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:২৪, ২১ জানুয়ারি ২০২৫   আপডেট: ১৭:২৮, ২১ জানুয়ারি ২০২৫
প্রস্তাবিত বিধানে ‘গুম-খুনে জড়িতরা’ নির্বাচনে অযোগ্য

নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার।

গুম, খুন ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িতরা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অযোগ্য; তারা প্রার্থী হতে পারবেন না- এমন বিধান প্রস্তাবে রাখার কথা তুলে ধরেছেন নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার। তিনি বলেছেন, বিচারিক আদালত বা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দোষী সাব্যস্ত হওয়া ব্যক্তিরাও নির্বাচনের সুযোগ পাবেন না।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি (আরএফইডি) টক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন তথ্য তুলে ধরেন তিনি।

নির্বাচন অঙ্গনকে দুর্নীতিমুক্ত রাখার জন্য এই বিধান করা হচ্ছে জানিয়ে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, প্রস্তাবিত বিধানটি সব রাজনৈতিক দলের প্রার্থীর জন্য প্রযোজ্য হবে। বিধান কার্যকর হলে গুম-খুনে জড়িতরা নির্বাচনে অযোগ্য বিবেচিত হবেন।

আরো পড়ুন:

কোনো দলকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখার পক্ষে নয় কমিশন, বরং নির্বাচনে সুষ্ঠু প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিশ্চিত করতে এই প্রস্তাব করা হয়েছে বলে দাবি করেন বদিউল আলম। 

নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বলেন, “গুরুতর মানবতাবিরোধী অপরাধ যারা করেছেন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড যারা করেছেন, তারা যেন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না পারেন, সেই সুপারিশ নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া হয়েছে। কাউকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। আমরা চাই যারা অন্যায় করেছেন, তারা যেন বিচারের আওতায় আসেন।”

একটি তদন্ত কমিশন গঠন করে নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে যারা কারচুপিতে সহায়তা করেছে তাদের বিচার করার দাবি উত্থাপন করে বদিউল আলম বলেন, “তখনকার কমিশন অন্যায় করলে তাদেরও বিচার হবে। কেউ চায় না, অতীতের জায়গায় ফিরে যাক। অতীতের কারচুপির নির্বাচনের পুনরাবৃত্তি চাই না। নির্বাচনী অঙ্গনকে দুর্বৃত্তায়ন মুক্ত করতে হবে।”

নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন নির্বাচন বিষয়ে আরো কিছু সুপারিশ করেছে। সেসব আগেই কমিশনের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

নির্বাচন এলেই পোস্টারে ছেয়ে যায় দেশ। এ নিয়ে বিভিন্ন মহলের আপত্তি রয়েছে। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েছে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। নির্বাচনে পোস্টার নিষিদ্ধ করার সুপারিশ করা হয়েছে তারা।

নির্বাচনি আইন ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ’ (আরপিও) সংশোধন করে মোট ১৮টি বিষয় সংশোধন এবং মোট ১৫০টি সুপারিশ জমা দিয়েছে সংস্কার কমিশন।

ঢাকা/হাসান/রাসেল

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়