নগর ভবনে শ্রমিক সংগঠনের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১০
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নগর ভবনে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক সংগঠনের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ভয়াবহ সংঘর্ষে রূপ নিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) বেলা ১২টার দিকে সংগঠনের সভাপতি আরিফ চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান প্রিন্সের অনুসারীদের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন। আহতদের কয়েকজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা যায়, গত কয়েকদিন ধরেই নগর ভবনে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। বৃহস্পতিবার বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনের চলমান রাজনৈতিক কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে নগর ভবনের অভ্যন্তরে উভয়পক্ষ জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করলে একপর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়।
সংঘর্ষের মূল কেন্দ্র ছিল নগর ভবনের বুড়িগঙ্গা হল। সেখানে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। চেয়ার-টেবিল ছোড়াছুড়ি, লাঠিসোঁটা নিয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় পুরো ভবনজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে গুরুতর আহত হন প্রিন্স গ্রুপের প্রধান আরিফুজ্জামান প্রিন্স নিজেও। সহকর্মীরা জানান, তার মাথায় গুরুতর আঘাত লাগায় সেলাই করতে হয়েছে এবং বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
দুপুর ২টা ২০ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছান বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। তিনি উভয়পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আমরা সবাই একটি বড় রাজনৈতিক লক্ষ্যের জন্য কাজ করছি।নিজেদের মধ্যে এই সংঘর্ষ আমাদের আন্দোলনকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।”
ঘটনার সময় নগর ভবনে স্বাভাবিক কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিএসসিসির একাধিক কর্মকর্তা জানান, সহিংসতায় আতঙ্কিত হয়ে অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী নিজ নিজ কক্ষে তালা দিয়ে রাখেন এবং কেউ কেউ ভবন ছেড়ে চলে যান।
শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আরিফ চৌধুরী বলেন, “আজকের ঘটনায় আমি নিজেও আহত হয়েছি। তবে এটি ছিল একটি ভুল বোঝাবুঝি, যা আমাদের নিজেদের মধ্যে হয়েছে।”
অন্যদিকে, সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান প্রিন্সের কাছে ঘটনার বিষয়ে জানতে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
ঢাকা/এএএম/এসবি