ভিড় কমলেও কমলাপুরে এখনো ঘরমুখী মানুষের চাপ
পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে শেষ সময়ে রাজধানী ছাড়ছে লাখো মানুষ। ঈদযাত্রাকে কেন্দ্র করে কমলাপুর রেলস্টেশনে শনিবার (৭ জুন) ঘরমুখী মানুষের চাপ দেখা গেছে।
এর আগে, গত দুইদিন কমলাপুরে ঢল নেমেছিল ঘরমুখী মানুষের। যাত্রীর চাপ সামলাতে হিমশিম খেয়েছে সংশ্লিষ্টরা। আজ কিছুটা ভিড় কমেছে। তবে মানুষের আনাগোনায় স্টেশন এলাকায় উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। আজো ট্রেনে সিডিউল বিপর্যয়ের খবর মেলেনি।
শুক্রবার (৬ জুন) সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, কমলাপুর রেলস্টেশনে গত দুই-তিনদিনের তুলনায় যাত্রীদের উপস্থিতি কিছুটা কম। অনেকেই স্টেশনে প্রবেশের জন্য বাঁশের তৈরি ব্যারিকেডে লাইন ধরে দাঁড়িয়ে আছেন। যাত্রীরা টিকিট প্রদর্শন না করে প্রথম ধাপ পার হতে পারছেন না। এরপর দ্বিতীয় ধাপে আবারো টিকিট যাচাই করা হচ্ছে। সবশেষ প্ল্যাটফর্মে প্রবেশে টিকিট প্রদর্শন করতে হচ্ছে যাত্রীদের।
এছাড়া চুরি-ছিনতাইসহ যে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে তৎপর থাকতে দেখা গেছে।
বিনা টিকেটে ও ছাদে ভ্রমণ বন্ধে কঠোর অবস্থানে আছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আন্তঃনগর ট্রেনগুলোতে টিকিট যাচাইয়ে কঠোরতা বাড়ানো হয়েছে। কেউ টিকিটবিহীন ধরা পড়লেই জরিমানা করা হচ্ছে, তাকে টিকিট কিনে ট্রেনে উঠতে বাধ্য করা হচ্ছে।
শিডিউল বিপর্যয় না থাকায় ট্রেনের ঈদযাত্রা এখনো বেশ স্বস্তির। নিয়মিত ট্রেনের পাশাপাশি নির্দিষ্ট কিছু রুটে চলছে ঈদ স্পেশাল ট্রেন।
রেল কর্তৃপক্ষ জানায়, ঈদযাত্রায় দেশের পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় একটা সময় ছিলো নিয়মিত ঘটনা। তবে, যমুনা রেল সেতু চালু হওয়ায় বদলে গেছে সেই চিত্র। উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনও এখন শিডিউল মেনেই চলে।
ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার মো. সাজেদুল ইসলাম বলেন, “আজ কিছুটা চাপ কমেছে। আমাদের প্রস্তুতি একই রকম থাকবে। যাত্রীদের ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে আমরা সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছি। তিন স্তরের টিকিট চেকিং ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর আছে।”
তিনি বলেন, “ঈদযাত্রা এখন পর্যন্ত স্বস্তির। সকাল থেকে এখন পর্যন্ত কোনো ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় নেই।”
আরিফুর রহমান নামের এক যাত্রী বলেন, “স্টেশনে কোনো ধরনের ভোগান্তিতে পড়তে হয়নি। বিগত দিনগুলোতে স্টেশনে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হলেও এবার কোনো সমস্যাই ফেস করতে হয়নি এখন পর্যন্ত। স্টেশন এলাকায় এবার শৃঙ্খলা রয়েছে। যাত্রী ছাড়া কেউ স্টেশনে প্রবেশ করতে পারছেন না।”
ঢাকা/হাসান/মাসুদ