ডিএসসিসির ডেঙ্গু–করোনা রোধে বাড়ছে সচেতনতা কার্যক্রম
ডেঙ্গুর প্রকোপ এবং করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং মশক নিধনে জনবল সংকট মোকাবিলায় কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। বুধবার (১১ জুন) এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
রাজধানীর ওয়াসা ভবনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন ডিএসসিসির প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়া।
সভায় জানানো হয়, মশক নিধনের দায়িত্বে থাকা জনবলের ঘাটতি পূরণে নিয়োগ কার্যক্রম চলমান থাকবে এবং আগত দিনগুলোতে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কার্যকর উদ্যোগ নিতে মাঠপর্যায়ে তৎপরতা আরো বাড়ানো হবে।
সভায় প্রশাসক বলেন, “ডেঙ্গু এখন ঢাকার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জনস্বাস্থ্য ইস্যু। তাই এটিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে আমরা সমন্বিত পদক্ষেপ নিচ্ছি।”
সভায় এডিস মশার বিস্তার রোধকে ডিএসসিসির সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ অ্যাজেন্ডা হিসেবে নির্ধারণ করে আলোচনা হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মশককর্মীদের সকাল ও বিকেলের উপস্থিতি নিশ্চিতকরণ, সঠিক অনুপাতে কীটনাশক প্রয়োগের তদারকি এবং মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে জনসচেতনতা ও আইন প্রয়োগ নিশ্চিত করা হবে।
এছাড়া মশক নিধন কার্যক্রমকে অধিকতর ফলপ্রসূ করতে বাড়ির ভেতর, ছাদ, আঙিনা ও জমে থাকা পানির উৎস চিহ্নিত করে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে অঞ্চলভিত্তিক ডেঙ্গু মনিটরিং টিম গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রতিটি অঞ্চলে নির্বাহী কর্মকর্তাকে আহ্বায়ক এবং সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে সদস্য সচিব করে এসব টিম কাজ করবে।
সভায় ডেঙ্গু ও করোনাভাইরাস বিষয়ে ডিএসসিসির সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফারিয়া ফয়েজকে ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা হিসেবে মনোনীত করা হয়। এছাড়া, চলতি মাসের মধ্যেই নগর ভবনে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে কীটতত্ত্ববিদদের সমন্বয়ে একটি সেমিনার আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ডিএসসিসির ওয়েবসাইটে প্রতিদিনের ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর হালনাগাদ তথ্য প্রকাশের সিদ্ধান্তও সভায় গৃহীত হয়, যাতে নাগরিকরা সচেতন থাকতে পারেন এবং নিজ উদ্যোগে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে পারেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মো. জিল্লুর রহমান, করপোরেশন সচিব মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. মাহাবুবুর রহমান তালুকদার, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নিশাত পারভীনসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
ডিএসসিসি কর্মকর্তারা জানান, বর্ষা মৌসুমের আগে থেকেই এই প্রস্তুতি কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে, যাতে নাগরিক দুর্ভোগ কমিয়ে আনা যায় এবং ডেঙ্গুর বিস্তার নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়।
ঢাকা/এএএম/এসবি