ইসির প্রাথমিক বাছাইয়ে উত্তীর্ণ এনসিপিসহ ১৬ দল
জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) ১৬টি দলের নিবন্ধন আবেদন বাছাইয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। এখন মাঠ পর্যায়ে তদন্তের পর সিদ্ধান্ত হবে।
রবিবার (১০ আগস্ট) নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ বিষয়টি জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “এনসিপিসহ ১৬টি দলকে আমরা মাঠ পর্যায়ে যাচাই বাছাইয়ের জন্য তালিকা করেছি। সেখান থেকে তদন্ত রিপোর্ট আসলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
এবার ১৪৫টি দল নিবন্ধন চেয়ে আবেদন করে।
কে এম আলী নেওয়াজ বলেন,“তবে প্রাথমিক বাছাইয়ে সব দল ফেল করলে ইসি ৩ আগস্ট পর্যন্ত তথ্যের ঘাটতি পূরণের চিঠি দেয়। এরপর ৮০টি দল তথ্যে ঘাটতি পূরণ করে। এদের মধ্যে বাছাইয়ে টিকল ১৬টি।”
আইন অনুযায়ী, নিবন্ধন পেতে ইচ্ছুক দলের একটি কেন্দ্রীয় কমিটি, এক তৃতীয় জেলা ও ১০০টি উপজেলা কমিটি এবং প্রতিটি কমিটিতে ২০০ ভোটারের সমর্থনের প্রমাণ থাকতে হয়। এছাড়া কোনো দলের কেউ আগে সংসদ সদস্য থাকলে বা আগের নির্বাচনের পাঁচ শতাংশ ভোট পেলেও নিবন্ধন পাওয়ার যোগ্যতা হিসেবে ধরা হয়।
এসব প্রধান শর্তগুলো ছাড়াও বেশকিছু নিয়ম কানুন মেনে আবেদন করতে হয়। প্রাথমিক বাছাইয়ে এসব নিয়ম কানুনগুলোই সাধারণত খেয়াল করা হয়।
নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় দলগুলোর আবেদন পাওয়ার পর কমিশন প্রথমে এগুলো প্রাথমিক বাছাই করে। এরপর সেই দলগুলোর তথ্যাবলী সরেজমিন তদন্ত শেষে বাছাই সম্পন্ন করে দাবি আপত্তি চেয়ে বিজ্ঞপ্তি দেয় কমিশন।
সেখানে কোনো আপত্তি এলে শুনানি করে তা নিষ্পত্তি করা হয়। আর কোনো আপত্তি না থাকলে সংশ্লিষ্ট দলগুলোকে নিবন্ধন সনদ প্রদান করে ইসি। নিবন্ধন ছাড়া কোনো দল নিজ প্রতীকে ভোটে প্রার্থী দিতে পারে না।
বর্তমানে নিবন্ধিত দলের সংখ্যা ৫১টি (আওয়ামী লীগসহ)। নবম সংসদ নির্বাচনের আগে ২০০৮ সালে নিবন্ধন প্রথা চালু হয়। এ পর্যন্ত ৫৫টি দল ইসির নিবন্ধন পেলেও পরবর্তীতে শর্ত পূরণ, শর্ত প্রতিপালনে ব্যর্থতা এবং আদালতের নির্দেশে পাঁচটি দলের নিবন্ধন বাতিল করে ইসি।
দলগুলো হলো-জামায়াতে ইসলামী, ফ্রিডম পার্টি, ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন, পিডিপি ও জাগপা।
ঢাকা/হাসান/সাইফ