ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৪ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

বি‌শ্বে মারা যায় ৫৯ হাজার মানুষ

জলাতঙ্ক রোগে আতঙ্কিত নয়, সচেতনতা বাড়াতে হবে: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

|| রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:৫৮, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫  
জলাতঙ্ক রোগে আতঙ্কিত নয়, সচেতনতা বাড়াতে হবে: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, “জলাতঙ্ক রোগ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই, বরং সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। কুকুর বা বিড়ালের কামড় ও আচড়ের মাধ্যমে এ রোগের সংক্রমণ ঘটে। তাই আতঙ্কিত না হয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে এবং রোগ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।”

শ‌নিবার বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলে (বিএআরসি) বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তি‌নি এসব কথা বলেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, “মাস ডগ ভ্যাকসিনেশন প্রোগ্রাম, শেল্টার ও রেসকিউ সেন্টার, এনিমেল ওয়েলফেয়ার অ্যাক্ট ২০১৯ এবং মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির কার্যক্রম আরো বিস্তৃত করতে হবে।পাশাপাশি কুকুরের প্রতি আমাদের মানসিকতা ও আচরণেও পরিবর্তন এবং এদের প্রতি মানবিক হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, “জলাতঙ্কের শেষ পর্যায়ের আগে বেশ কিছু উপসর্গ দেখা দেয়। কিন্তু আমরা সাধারণত কুকুর বা বিড়ালের আচড়কে গুরুত্ব দিই না। শুধু কামড় দিলে অথবা আচড়ে ক্ষত সৃষ্টি হলে চিকিৎসার কথা চিন্তা করি। অথচ এসব ক্ষেত্রে দেরি না করে শুরুতেই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া জরুরি।”

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা প্রদান করেন অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মো. বয়জার রহমান।

অনুষ্ঠানের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রাণিসম্পদ ঔষুধাগারের পরিচালক ডা. মো. শাহিনুর আলম।

তিনি তার প্রবন্ধ উপস্থাপনায় বলেন, বিশ্বের ১৫০টি দেশে জলাতঙ্ক রোগ বিস্তৃত রয়েছে। এই রোগে বিশ্বে প্রতি বছর প্রায় ৫৯ হাজার মানুষ মারা যায়। এ রোগে বিশ্ব আর্থিকভাবে ৮.৬ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির সম্মুখীন হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে ড. মো. আবু সুফিয়ান বলেন, “মানব স্বাস্থ্য ভালো রাখতে কুকুরের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হবে। এই মুহূর্তে রোগ নিয়ে গবেষণা করাও দরকার। আমাদের প্রাণিদের প্রতি আরো মানবিক হতে হবে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মো. আবু জাফর, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. শাকিলা ফারুক,    আইইডিসিআর-এর পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরীন, এসিআই এগ্রি বিজনেস ডিভিশনের প্রেসিডেন্ট ড. ফ হ আনসারী।

অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে বক্তৃতা করেন অভয়ারণ্য-বাংলাদেশ অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা রুবাইয়া আহমেদের, পিপল ফর অ্যানিমেল অয়েল ফেয়ার ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান স্থপতি রকিবুল হক এমিল, কেন্দ্রীয় ভেটেরিনারি হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. আজিজ আল মামুন প্রমুখ।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এসবি 

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়