রুবেলের ৭ উইকেটের পর অমিত-তুষারের ফিফটি
ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে রাজশাহীর ব্যাটিং গুঁড়িয়ে দিয়েছেন রুবেল হোসেন। পরে অমিত মজুমদার ও তুষার ইমরানের ফিফটিতে লিড নিয়েছে খুলনা।
প্রথম স্তরের এই ম্যাচে মিরপুরে বৃষ্টিতে ভেসে গিয়েছিল প্রথম দিন। দ্বিতীয় দিনে খেলা হয় মাত্র ১২ ওভার। যেখানে রাজশাহী বিনা উইকেটে তুলেছিল ৩৬ রান। সোমবার তৃতীয় দিন রুবেলের ৭ উইকেট শিকারে রাজশাহী গুটিয়ে যায় ১৫১ রানেই।
দিন শেষে খুলনার রান ৪ উইকেটে ১৫৪। ৬ উইকেট হাতে নিয়ে খুলনা এগিয়ে আছে ৩ রানে। নাহিদুল ইসলাম ও নুরুল হাসান সোহান; দুজনই ৬ রানে অপরাজিত আছেন।
রুবেল আগের দিন ৩ ওভারে ১৮ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য। তৃতীয় দিনের তৃতীয় ওভারে অভিষেক মিত্রকে ফিরিয়ে শুরু রুবেলের উইকেট শিকার যাত্রা। লাঞ্চের আগে তার শিকার রাজশাহীর আরও চার ব্যাটসম্যান- মিজানুর রহমান, সাব্বির রহমান, মুক্তার আলী ও ফরহাদ রেজা।
লাঞ্চের আগে শেষ বলে ফরহাদকে ফিরিয়ে রুবেল পূর্ণ করেছিলেন পাঁচ উইকেট। বিরতির পর তুলে নেন রাজশাহীর শেষ দুই ব্যাটসম্যান সুজন হাওলাদার ও সানজামুল ইসলামের উইকেট। রাজশাহীর হয়ে সানজামুল করেন সর্বোচ্চ ৪৮ রান।
রুবেল ১৭.৪ ওভারে চার মেডেনে ৫১ রানে নেন ৭ উইকেট। এই নিয়ে চতুর্থবারের মতো প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ইনিংসে পাঁচ বা এর বেশি উইকেট পেলেন তিনি। ২২ রানে ৫ উইকেট ছিল তার আগের সেরা বোলিং।
জবাবে খুলনার শুরুটা ভালো হয়নি। ৪৫ রানের মধ্যে দুই ওপেনার এনামুল হক বিজয় ও রবিউল ইসলামকে ফেরান মোহর শেখ। তৃতীয় উইকেটে ৯৬ রানের বড় জুটির পথে অমিত ও তুষার তুলে নেন ফিফটি। তবে ৫ রানের ব্যবধানে দুজনকেই ফেরান মুক্তার আলী।
অমিত ১২০ বলে ৪ চারে ৫৯ ও তুষার ১০৮ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় করেন ৫৮ রান। দিনের বাকি সময়টা কাটিয়ে দেন নাহিদুল ও নুরুল। দুজন পঞ্চম উইকেটে ৮ রানের জুটিতে অবিচ্ছিন্ন আছেন।
বৃষ্টির কারণে বরিশাল বিভাগীয় স্টেডিয়ামে বরিশাল ও চট্টগ্রামের মধ্যকার দ্বিতীয় স্তরের ম্যাচের তৃতীয় দিনেও বল মাঠে গড়ায়নি।
ঢাকা/পরাগ
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন