আ.লীগ ও গণতন্ত্র একসঙ্গে যায় না: মির্জা ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার অগণতান্ত্রিক উপায়ে ভোট জালিয়াতি করে ক্ষমতায় এসেছে। মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও আসলে আওয়ামী লীগের সঙ্গে গণতন্ত্র শব্দটি যায় না। তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। মানুষের ভোটাধিকার, রাজনীতি করার অধিকার, সত্য বলার অধিকার সব কেড়ে নিয়েছে।
শনিবার (২৮ জানুয়ারি) বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে ‘বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, বিচার বিভাগ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সবাই বর্তমান সরকারের নির্দেশে চলছে। ভিন্নমত বা ভিন্ন দলের কারো আচরণ এই সরকারের পছন্দ হয় না। তাই, তারা আমাদের ৪০ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের গায়েবি ও মিথ্যা মামলা দিয়েছে।
তিনি বলেন, সারা দেশের সকল মানুষ এখন নির্যাতিত, নীপিড়িত, অতীষ্ঠ। তারা এখন আর এই স্বৈরাচারী সরকারকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। তাই, আমরাও বলছি, আপনারা পদত্যাগ করুন, সংসদ বিলুপ্ত করুন। নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় আসবে। তারা একটি নির্দলীয় নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন। তাদের অধীনে পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে।
সকল ভিন্নমতের রাজনৈতিক দলকে এক হয়ে, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এই সরকারের প্রতি রাজপথে আন্দোলন করার আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন—এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার লুৎফর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এম শাহাদাত, গণদলের চেয়ারম্যান এ টি এম গোলাম মাওলা চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব নুরুল কাদের চৌধুরী, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক কমরেড ডা. সৈয়দ নুরুল ইসলাম, বিকল্পধারা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নুরুল আমিন বেপারী, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ আহমেদ বাদল, বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান এম এন শাওন সাদেকী, মহাসচিব পরশ বড়ুয়া, বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টির সভাপতি সুকৃতি কুমার মন্ডল, যুব জাগপার সভাপতি মীর আমির হোসেন আমু।
মেয়া/রফিক
আরো পড়ুন